
The Truth of Bengal: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি দীপান্বিতা অমাবস্যা। শ্মশান সংলগ্ন কালীমন্দিরে ভিড় জমাচ্ছেন তান্ত্রিক ও সাধকরা। নিশুতি রাতে তন্ত্রসাধনা করবেন তান্ত্রিকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের করুণাময়ী শ্মশানে স্বপ্নাদেশে ৩৫০ বছর আগে কালীপুজো শুরু হয়েছিল গাছের গোড়ায় শ্মশানে। সেখানে মন্দির স্থাপিত হয় ১১০ বছর আগে। সেই মন্দিরে এখন মায়ের পুজো হয়। এই মন্দিরের কালী পুজোর বিশেষত্ব হল, এখানে আদি রীতি অনুসারে তন্ত্রমতে ১০৮টি নরমুণ্ডের সাহায্যে গা ছমছমে পরিবেশে কালী সাধনা করা হয়।
যা হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের চক্রবর্তী পরিবার বংশ পরম্পরায় এই পুজো চালিয়ে আসছে।রাতে শিয়ালভোগের পাশাপাশি মদ, মাংস এবং শোল মাছ দেওয়া হয়। মাতৃমূর্তির চোখ এবং জিভ সোনার তৈরি। হাতে রয়েছে রুপোর খাঁড়া। পুজোর দিন মাকে সোনার গয়না পরানো হয়ে থাকে। এই পুজো দেখার জন্য মন্দিরে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন। পুজোর পুরোহিত ৭৭ বছর বয়সী শ্যামল চক্রবর্তী। এই প্রাচীন পুজ সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ১০৭ বছর আগে মন্দির স্থাপিত হওয়ার পর তাঁর বাবা মণিলাল চক্রবর্তী স্বপ্নে মায়ের আদেশ পেয়েছিলেন।
এরপরে তিনি গঙ্গার তীরে এই কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে কাকা ফণীভূষণ চক্রবর্তী এই পুজোর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপরে ১৪ বছর বয়সে কাকার কাছ থেকে তন্ত্রবিদ্যা শিখে এখন পুজোর ভার নিয়েছেন তিনি।মন্দিরে বিগ্রহের পেছনে পরপর সাজানো আছে ১০৮টি নরমুণ্ড। এতগুলি নরমুণ্ড এসেছিল কথা থেকে? সেই সম্পর্কে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অপঘাতে যাদের মৃত্যু হয়েছিল এই মুন্ডগুলি তাঁদের। এই মন্দিরে নরমুণ্ড থাকলেও এখানে পুজোয় বলিপ্রথা নেই। এক ভয়াল পরিবেশে হওয়া এই পুজো দেখতে হাজির হন বহু মানুষ।
Free Access