রাজ্যের খবর

‘একা কুম্ভকর্ণ’ হয়ে লড়াই, স্কুল সামলাচ্ছেন একমাত্র শিক্ষক

Sundarban Teacher

The Truth of Bengal: আগে তিনজন শিক্ষক ছিলেন। তারপর হয়ে যান দুই শিক্ষক। পরে এক শিক্ষক বদলি নিয়ে চলে গেলে এখন সেই স্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক।  সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধবকাটি রমাপুর এফপি স্কুল চলছে এই ভাবে। এখন সেই স্কুলে আছেন একমাত্র শিক্ষক অমৃতেন্দু বিশ্বাস। কার্যত একার কাঁধেই একটি গোটা স্কুল চালাচ্ছেন তিনি। স্কুলে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ অর্থাৎ পাঠদান থেকে স্কুলের প্রশাসনিক সব কাজ এক হাতে সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালিতে এভাবেই শিক্ষার ভার বয়ে চলেছেন শিক্ষক অমৃতেন্দু বিশ্বাস।

বদলি ও অবসরের কারণে আজ স্কুলের এমন অবস্থা। নতুন শিক্ষক না আসা পর্যন্ত পড়ুয়াদের এইভাবে পাঠদান করে চলেছেন ওই শিক্ষক। স্কুলের ৫টি ক্লাসে সব মিলিয়ে ৩৯ জন পড়ুয়া আছে। পড়ুয়াদের দুটি ঘরে বসিয়ে অমৃতেন্দুবাবু একবার একটি ঘরে গিয়ে পড়ুয়াদের কিছুক্ষণ পড়ান। তারপরে আবার কিছুক্ষণ অন্য ঘরে গিয়ে পড়ান। আন্তরিকতায় কোনও অভাব না রাখলেও পঠনপাঠনে প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন ওই শিক্ষক।এই ভাবে কোনওরকমে স্কুলটি চলছে গত কয়েক মাস ধরে। শিক্ষক না থাকার জন্য পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করছে পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, দ্রুত এই স্কুলে নতুন শিক্ষক নিয়োগে করা হোক।

পড়ুয়া ও অভিভাবকদের পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। সমিতির বনভূমি কর্মাধ্যেক্ষ সুরজিৎ বর্মন জানান, বিদ্যালয়টিতে শূন্য পদ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে। দ্রু সমাধান হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।এলাকার একমাত্র ভরসা এই স্কুলটি। এখন সেই স্কুলে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। একমাত্র শিক্ষক অমানুষিক চাপ নিয়ে সব দিক সামলে চলেছেন। তবে এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে পারে না। উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ ফেরাতে অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ দরকার। প্রশাসনিক আশ্বাসে আসার আলো দেখছে পড়ুয়ারা।

Free Access

Related Articles