রাজ্যের খবর

ফলকে কবিগুরুর নাম ফেরাতে আন্দোলন অব্যাহত

Shantinikatan

The Truth of Bengal: কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এবার বাঙালির ভাবাবেগে আঘাত হানার জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মতোই কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় সরকারও।কেন কবির স্বাদের প্রতিষ্ঠানের ফলকে তাঁকে বাদ দিয়ে আচার্য নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীর নাম রাখা হয়েছে,এই জবাব চাইতে গণআন্দোলন শুরু হয়েছে। বাংলার গৌরবের প্রতিষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথকে কেন মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে তা নিয়ে মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।বর্তমান কর্তৃপক্ষ হেরিটেজ সংস্থার যে স্মারক হিসেবে ফলক বসিয়েছে তাতে উপাচার্যেরও নাম রয়েছে, বাদ কেবল গুরুদেবের নাম।কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ,এই অহঙ্কারী –আত্মপ্রদর্শনবাদের নমুনাটিকে সরিয়ে দেওয়া হোক,গুরুদেবকে যাতে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেশ জানাতে পারে তার ব্যবস্থা হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সৃষ্টির প্রাণপুরুষকে সম্মানদানের দাবির সপক্ষে শান্তিনিকেতনে গণআন্দোলন আরও তীব্রতর হয়েছে।

রবিবার ছুটির দিনেও শান্তিনিকেতনের সৃষ্টির জগতের মানুষ থেকে শিক্ষামহলের একাংশ প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়। তাঁদের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে সমর্থন করেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।গত ২৭ সেপ্টেম্বর শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো। তার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্র ভবন ও গৌড় প্রাঙ্গনে তিনটি শ্বেত পাথরের ফলক বসায়। তাতে লেখা, ইউনেসকোর স্বীকৃতি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। নীচে দু’টি নাম দেওয়া হয়েছে, একটি নাম আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এবং দ্বিতীয়টি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। কোথাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের চিহ্নও নেই। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়। রাজ্যপালও জবাবদিহি তলব করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে। কড়া প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরই নির্দেশে শান্তিনিকেতনে চলছে রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে নিয়ে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি।শুক্রবার শুরু হওয়া অবস্থান টানা চলছে।

তারমাঝে বিজেপির ভিতর থেকেও উপাচার্যের স্তাবকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।বিদ্যুত চক্রবর্তীকে বিঁধলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তাঁর বাণ..আগেও বলেছি আবারও বলছি। নিজের উপাচার্য পদ বাঁচাবার তাগিদে প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে গিয়ে Over-Smart ভণ্ড বিজেপি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিজেপির আরও ক্ষতি করবে। তার নবতম সংযোজন হল, বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্ক, যেখানে উনি বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অব্দি রাখেননি। যাই হোক, অতিরিক্ত তৈল মর্দন করেও উদ্দেশ্য সফল হবে না ”।বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীরা বলছেন,বিজেপির বিবেক জাগ্রত হলে ভালো।বাংলার সৃষ্টির অগ্রদূতকে বিশ্বভারতী যোগ্য মর্যাদা দিলে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা যে বাড়বে এটা আর কবে বুঝবেন বিদ্যুত্ চক্রবর্তী ? সেই প্রশ্নও উঠছে শান্তিনিকেতন থেকে।

Free Access

Related Articles