রাজ্যের খবর

নবাবের শহরে মতিঝিল

Motijhil

The Truth of Bengal: পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল ছেড়ে এবার ঘুরে আসুন ঐতিহাসিক স্থানে। ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত মুর্শিদাবাদের অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক স্থান হল মতিঝিল। নবাবের শহর মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদের এই মতিঝিল ঐতিহাসিক স্থান হওয়ার পাশাপাশি  অন্যতম ভৌগোলিক নিদর্শন । এই অঞ্চলে দেখতে পাবেন অসংখ্য অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ।কথিত আছে একসময় নাওয়াজেশ মোহম্মদ এই অঞ্চলে ঘোড়ার ক্ষুরের আকারে একটি লেক তৈরি করেছিলেন। নবাবী আমলে এই লেকেই মুক্ত চাষ করা হত যে কারণে এই অঞ্চলের নাম হয় মতিঝিল।

লেকের ধার বরাবর ছিল সিরাজের মাসি ঘসেটি বেগমের প্রাসাদ সিংহী দালান। ইতিহাস খুঁজলে জানা যাবে গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস এই দালানে এসে থাকতেন একসময়। এই মতিঝিল থেকেই নবাব সিরাজউদ্দৌলা পলাশির যাত্রাপথে রওনা দেন। ২০১৩ সালে মতিঝিলে পর্যটন কেন্দ্রের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে এই পার্কে রয়েছে একটি পার্ক । এই শহরে মতিঝিল পার্কের উদ্বোধন হয় ২০১৫ সালে। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের অধীনে থাকা এই পার্কে তুলে ধরা হয়েছে নানান ঐতিহাসিক নিদর্শন ।

এই পার্কে দেখতে পাবেন মিরজাফরের বিশ্বাস ঘাতকথায় সিরাজের পরাজয়ের কাহিনী। সবুজ গাছ পালা ও গোলাপ বাগানে ঘেরা এই পার্ক। অশ্বখুরাকৃতি হ্রদের ধার বরাবর রয়েছে ৭ কিমি লম্বা পথ যেখান দিয়ে আপনি চায়লে হাটতে পারেন আবার ব্যাটারি চালিত গাড়ি করে ঘুরে দেখতে পারেন এই হ্রদের চারপাশ। কিভাবে যাবেন এখানে ? হাওড়া বা শিয়ালদা থেকে মুর্শিদাবাদ গামী ট্রেন ধরে পৌঁছে যান মুরশিদাবাদে। সেখান থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যান অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান মতিঝিলে। মুরশিদাবাদে থাকার জন্য অসংখ্য হোটেল লজ রয়েছে তাই রাত্রিযাপনের ক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারন নেই।

Free Access 

Related Articles