রাজ্যের খবর

রাজবাড়ির পুজোয় ঘট থাকে পশ্চিম মুখী আতস কাঁচ দিয়ে আগুন জ্বলানো হয় হোমকুণ্ডতে

Durga Pujo 2023

The Truth of Bengal: কাঁথি শহরের কিশোর নগরগড় রাজবাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল মা এখানে পূজিত হয় পশ্চিমমুখী ঘটে। পশ্চিম মুখী ঘটে দেবীদুর্গার  আরাধনা বোধহয় বাংলায় আর কোথাও হয় না। এই প্রথার পেছনে আছে চমকপ্রদ কাহিনি। শুরু থেকে পশ্চিমমুখী ঘট স্থাপন হতো না। একসময় দেবীবন্দনায় গান হতো। গান করতেন ব্রাহ্মণ ও উচ্চ সম্প্রদায়ের মানুষ। ধীবর সম্প্রদায়ের এক রমণী আরাধনার সময় মায়ের মন্দিরে পেছনে বসে দেবী বন্দনা গান করেছিলেন।

গান শুরু হলে দেখা যায় পুজোর ঘট আপনা থেকেই মন্দিরের পেছন দিকে অর্থাৎ পশ্চিমমুখী হয়ে যায়। সেই থেকে পশ্চিমমুখী ঘটে দেবী আরাধনা হয়ে আসছে আজও। রাজ পরিবারের প্রাচীন পুজোর আরও কিছু বিশেষ রীতিনীতি আছে।  পুজোর হোম কুণ্ডতে আজও সরাসরি আগুন ব্যবহার হয় না। আতশকাচের মাধ্যমে সূর্য রশ্মি থেকে আগুন জ্বালানো হয়। দুর্গাপুজো শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন ঘটত্তোলনের মধ্য দিয়ে। নিয়ম মেনেই মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী সন্ধিপুজো, মহানবমী এবং দশমীর পুজো ও বিসর্জন হয়।

মহাষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেওয়ার জন্য মানুষজন ভিড় করে রাজবাড়ির দালানে। নিয়ম মেনেই সন্ধিপুজো হয় একশোটি প্রদীপ জ্বালিয়ে।রাজপরিবারের পুজো মানেই পরিবারের মিলন উৎসব। পূজার কটা দিন বাড়িতে হই-হুল্লোড় চলে। আড্ডায় মেতে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা।   পুজোর সময় পরিবারের সব সদস্যই বাড়িতে থাকেন। কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে বা বিদেশে থাকা রাজ পরিবারের সদস্যরা পুজোর আগেই বাড়ি ফেরেন। রাজপরিবারের প্রাচীন এই পুজোর জৌলুস এখন কিছুটা কমেছে। অর্থের সঙ্কটে জৌলুসে টান পড়লেও রীতিনীতি আছে একই রকম।

Free Access

Related Articles