কলকাতা

প্রথমে বালিশ চাপা, তারপর খুন নিশ্চিত করতে জড়ানো হয়েছিল মুখে সেলুটেপ, হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড

আরও দুই বন্ধু ও দুই বান্ধবীকে আটক করেছে পুলিশ

The Truth of Bengal: নিউটাউনে উদ্ধার হওয়া যুবকের মৃতদেহের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এলো পুলিশের। এ ঘটনার দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, ধৃতদের হল গৌত সিং এবং পাপ্পু ঘোষ।

পুলিশ সূত্রের খবর, ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট) পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মালদহের কালিয়াচক থেকে এসেছিল বছর উনিশের যুবক সাজিদ হোসেন। মাস পাঁচেক আগে, নিউটাউনের তারুলিয়া এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নেয় সে। সেখানেই আরও তিনটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো গৌতম সিং নামে এক যুবক। গত ৪ অক্টোবর বিকেল তিনটে থেকে সাজিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মুক্তিপণ চেয়ে তাঁদের কাছে একটি মেসেজ আসে। এর পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। সাজিদের বাবাও কলকাতা এসে খোঁজাখুজি করে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করে।

সাজিদ যেখানে ভাড়া থাকতো সেই অঞ্চলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। একটি মদের দোকান থেকে বেরোতে দেখা যায় সাজিদকে। তার সঙ্গে ছিল গৌতম সিং। গৌতমের একটি রেস্তরাঁ রয়েছে। পুলিশ গৌতমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খুনের রহস্য উন্মোচন করে। জানা গিয়েছে, রেস্তরাঁতেই গৌতমের সঙ্গে প্রথম আলাপ সাজিদের। সেই সূত্র ধরেই, সাজিদ ঘর ভাড়া পায়। গৌতমের ঘরে তল্লাশি চালানো হয়, সেখানেই খাটের তলায় একটি স্যুটকেসের মধ্যে রাখা ছিল সাজিদের দেহ। তার মুখে সেলুটেপ আটকানো। পুলিশ গৌতম সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে। সে এবং তার সহযোগী পাপ্পু ঘোষ দুজনে মিলেই তাকে খুন করেছে। প্রথমে সাজিদকে মদ খাওয়ানো হয়, তারপর তাঁর মুখ বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে সেলুটেপ আটকানো হয়। মুক্তিপণের জন্যই যে অপহরণ করে খুন গৌতম পুলিশি জেরায় স্বাকীর করেছে বলে দাবি তদন্তকারী অফিসারদের।

অভিযুক্ত গৌতম ও পাপ্পুকে গ্রেফতারের পাশাপাশি আরও দুই বন্ধু ও দুই বান্ধবীকে আটক করেছে পুলিশ।