সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে পথে নেমেছেন পুলিশ কর্মীরা
Police personnel are on the way to reduce the suffering of common people

The Truth of Bengal: পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে,পুলিশ দুষ্টের দমন করে।আবার পুলিশ শিষ্টের পালনও করে।কিন্তু আপনারা কী জানেন,পুলিশ মানুষের ভোগান্তি দূর করতে ময়দানেও নামে। কোভিডের সময় আপনারা নিশ্চয় দেখেছিলেন,সুরেলা কন্ঠে পুলিশ রোগীদের স্বস্তির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন,কিংবা খাবার মুখে তুলে দিয়ে সংক্রামক রোগীদের বাঁচাচ্ছেন।বাংলার পুলিশের এই মানবিক মুখ বারবার দেখা গেছে।কোভিডে ঘরবন্দি মানুষদের মনবল চাঙ্গা করতে পুলিশ কর্মীরাই দেন ভোকাল টনিক।
এবার সেই পুলিশকেই দেখা গেল পথচারী বা গাড়ি চালকদের কষ্ট লাঘব করতে।যাঁরা ট্রাফিক সামলান তাঁরাই ভোগান্তির কবলে পড়া মানুষকে রেহাই দিতে হাতে তুলে নেন কোদাল বেলচে।.বীরভূম থেকে উঃদিনাজপুর সর্বত্র রক্ষকরা রাস্তার রক্ষাকবচ তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা করল।আর পুলিশের এই পরিশ্রম,দরদ আর মানবিকতা দেখে অনেকেই বলছেন, এঁরাই সমাজের প্রতিপালক।কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল ? কেন মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে ? আসলে , রায়গঞ্জ থেকে বালুরঘাটগামী ১০এ রাজ্য সড়কের উপর রাণীসতি মন্দিরের সামনে পুরাতন ভেঙে দিয়ে সদ্য নতুন সেতু তৈরি করেছে পূর্তদপ্তর। রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের ফলে সেতুর মুখে নতুন রাস্তায় পিচের প্রলেপ উঠে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশই কোদাল-বেলচে ধরে হাল ফেরানোর উদ্যোগ নেয়।পুলিশের বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করেন।কড়া হাতে পুলিশ আইন লাগু করলেই ক্ষোভ হয় মানুষের।কিন্তু যখন পুলিশ আপনার আমার দুর্ভোগ কমাতে রাস্তা তৈরি করেন,সহায় সম্বল হয়ে ওঠেন তখন আপনি কী বলবেন ?আসলে সদাইপুর থানার বাঁধেরশোল মোড়ের কাছে রানিগঞ্জ মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশা দেখে পুলিশ কর্মীরা আর থাকতে পারেন নি।তাঁরাই রাস্তা সংস্কারের ষজ্ঞে সামিল হন।কোখাও জাতীয় সড়ক কোখাও এমনি রাস্তার বেহাল দশা দেখলেই পুলিশ মাঠে নামছেন,তাঁরা তৈরি করছেন দায়বদ্ধতার আরও এক উদাহরণ।অনেকেই পুলিশের এই কর্মতত্পরতা দেখে বলছেন,বাংলার এই ওয়ার্ককালচার উন্নয়নের গতি বাড়াবে।
Free Access