রাজ্যের খবর

জগৎজোড়া ঐতিহ্য বেগমপুরী তাঁত ! হারিয়ে যাচ্ছে যন্ত্রের দাপটে

Tant Silpo

The Truth of Bengal: বাংলার নারীদের কাছে শাড়ি অন্যতম সেরা পোশাক। আর সেই শাড়ির মধ্যে বিশেষ হল তাঁত। তবে যন্ত্রের দাপটে প্রায় উঠে যেতে বসেছে হস্তচালিত তাঁত। এই রাজ্যে নদিয়া ও  হুগলি জেলার তাঁত জগদ্বিখ্যাত ছিল একটা সময়। বিশেষত হুগলির ধনিয়াখালি, আঁটপুর ও বেগমপুরের তাঁতের আলাদা কদর ছিল অন্যরকম। কিন্তু এই আধুনিকতার যুগে আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যশালী তাঁত শিল্প। কেমন আছেন সেই সব তাঁত শিল্পীরা? ম্যাঞ্চেস্টারকে তুলে ধরতে গিয়ে একটা সময় এই তাঁতশিল্পীদের ওপর চরম অত্যাচার করেছেলেন ইংরেজ শাসকরা।

অনেক চেষ্টা করেও যাদের দমাতে পারেনি ব্রিটিশরা, সেই তাঁতশিল্পীরা আজ প্রায় বিপন্ন।হুগলির প্রাচীন জনপদ বেগমপুর একটা সময় তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। বিশেষ করে হালকা এবং উজ্জ্বল বলে এই বেগমপুরি হস্ততাঁতের বরাবরই একটা কদর ছিল। বেগমপুরের তাঁতিপাড়ার সেই শিল্পীরা এখন ভাল নেই। অধিকাংশ শিল্পী প্রবীণ। তাঁদের উত্তরসূরি কেউ আর তাঁত বোনে না। তাঁরা পার্শ্ববর্তী ডানকুনি শিল্পাঞ্চলে কলকারখানায় কাজ জোটাতে ব্যস্ত। উপযুক্ত মজুরি না থাকার জন্য এখন এই পেশায় আসতে চায় কেউ।

আবার যন্ত্রচালিত তাঁতের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হস্তচালিত তাঁতের কারবারিরা বাড়াতে পারছেন মজুরি। ফলে সব মিলিয়ে এলাকার হস্তচালিত তাঁতশিল্পীরা আজ ভাল নেই।একটা সময় বেগমপুরের তাঁতিদের এতই কর্মব্যস্ততা ছিল যে কারিগরি দেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনা করতে নির্দিষ্ট সময়ে। সব মিটিয়ে তাঁরা শীতকালে করতেন বিশ্বকর্মা পুজো। সেই থেকে এই বেগমপুর এলাকায় অকাল বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে। যা এই বাংলায় কোথাও হয় না। সেই হুগলির ম্যাঞ্চেস্টারের সুদিন কি আবার ফিরবে। সরকার চেষ্টা করছে হস্তচালিত তাঁতশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার। সেই সুদিন ফেরায় অপেক্ষায় বেগমপুরের হস্তচালিত তাঁত শিল্পীরা।

Free Access

Related Articles