
The Truth of Bengal: সপ্তাহে কি হাতে মাত্র তিনটে দিন আছে? বেড়াতে যাওয়ার জন্য, তাহলে অনায়াসে দুটে দিন কাটিয়ে আসতে পারেন পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে। একদম ভিন্ন স্বদের সফর হতে পারে প্রকৃতির কোলে। লুগুবুরু ঘণ্টাবাড়ি। জায়গা আপনাদের কাছে একদম নতুন লাগতেই পারে, কারণ এই জায়গায় পর্যটকেরা সেভাবে যান না। তাই নির্জন নিরিবিলে দুটো দিন কাটাতে চাইলে বেড়িয়ে আসতেই পারেন, ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলায় প্রত্যন্ত এই পাহাড়ের কোলে। কিন্তু যাওয়ার আগে একটা সাবধানবাণী। লুগুবুরু ঘণ্টাবাড়ি, সাঁওতাল বা আদাবাসীদের উপাস্য একটি জায়গা। ফলে যাওয়ার পর সেখানে এমন কিছু করবেন না যাতে তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত লাগে।
লুগুবুরু ঘণ্টাবাড়ি বোকারো জেলার, টিটিপিএস লালপানিয়ার কাছে অবস্থিত সাঁওতালি উপজাতিদের একটি ছোট গ্রাম। গোমিয়া ব্লক থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কিংবন্তী রয়েছে, প্রচীনকাল থেকেই এই পাহাড়ের পুজো হয়ে আসছে। এই জায়গা নিয়ে সাঁওতাল অধিবাসীরা অত্যন্ত সংবেদনশীল। লুগুবুরু ঘণ্টাবাড়ি ধরমগড় ২০০০ সালে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হয়। তারপর থেকে এখানে প্রতি বছর ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। লুগুবুরুর পাদদেশে পাহাড়ের নীচে লুগু পাহাড় ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড়। পাহাড়টি ঝাড়খণ্ডের বিখ্যাত নদী দামোদর এবং ছোট পাহাড়ি নদী কাটাইল ও সাদাবাহার দ্বারা বেষ্টিত। তেনুঘাট বাঁধের উত্তর দিকে।
আরও পড়ুন- এবার পুজোয় বেড়িয়ে আসুন অফবিট ডেস্টিনেশন
প্রতিবছরই কার্তিক পূর্ণিমায় এখানে সাঁওতালিদের একটি বিখ্যাত মেলার আয়োজন করা হয়। এবং সারা ভারতের সাঁওতাল আদিবাসীরা এখানে তাদের প্রভু লুগু বাবার কাছে প্রার্থনা করতে আসেন। এই অঞ্চলে একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত মনোরম জলপ্রপাত লালপানিয়ার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিচ্ছে, এখানে প্রায় 15 মিটার উচ্চতা থেকে জল পড়ছে এবং পতনের নীচে একটি বড় ক্যান্টিলিভার ধাঁচের পাথর গুহা তৈরি হয়েছে, সেখানে একটি শিব লিঙ্গ স্থাপন করা হয়েছে। জঙ্গলে ঘেরা এই পাহাড় আপনার সফরকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেবে।