মহা সমারোহে রাজ্যজুড়ে জন্মাষ্টমী পালন! ভক্তদের উৎসাহ উদ্দীপনা তুঙ্গে
Janmasthami Celebration

The Truth of Bengal: দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্যই জন্ম হয়েছিল তাঁর। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্ম নেন শ্রীকৃষ্ণ। শুধু এই দেশ নয়, গোটা বিশ্বে সাড়ম্বরে পালিত হয় এই বিশেষ দিনটি। হিন্দুধর্মে বিষ্ণুর অবতার হিসাব মনে করা হয় শ্রীকৃষ্ণকে। দিনটিতে কৃষ্ণকে জড়িয়ে নানা উত্সব আয়োজন করা হয়। চলে ভোগ নিবেদন। বর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়লেও জন্মাষ্টমীর মাহাত্ম্য এতটুকুও কমেনি।
(Birbhum)
হিন্দুধর্মে বিষ্ণুর অবতার হিসাব মনে করা হয় শ্রীকৃষ্ণকে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্যই জন্ম হয়েছিল তাঁর। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্ম নেন শ্রীকৃষ্ণ। গোটা দেশের পাশপাশি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় উৎসাহের সঙ্গে পালিত হল দিনটি। এই রাজ্যেও একাধিক জায়গায় উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হল দিনটি।
বোলপুরে উকিলপট্টিতে প্রতিষ্ঠিত শ্রীগৌরাঙ্গ, শ্রীরাধাবল্লভ, শ্রীগোপাল মন্দির আজ প্রসিদ্ধ তীর্থভূমিতে পরিণত হয়েছে। বছরব্যাপী এখানে নিত্যপুজো হলেও বছরে বিশেষ বিশেষ দিনে এখানে হয়ে আসছে বিশেষ পুজো। বোলপুরে উকিলপট্টিতে অবস্থিত মহাপ্রভুর মন্দির। এই মন্দির পরিচিত এলাকার মানুষের কাছে আখড়া নামে। বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীর মানুষরা আনুমানিক প্রায় ৭০০ বছর আগে এই জায়গায় খড়ের চাল করে আখড়া স্থাপন করেছিলেন। তখন থেকেই হয়ে আসছে মহাপ্রভুর পুজো। ভিক্ষা করেই চলতো পুজো। কথিত আছে, চৈতন্যদেব নবদ্বীপ থেকে পুরী যাওয়ার পথে বোলপুর উকিল পটিতে মহাপ্রভুর মন্দির বা আখড়াতে রাত্রিযাপন করেছিলেন। তখন থেকেই এখানে জন্মাষ্টমীর দিন সহ বছরে্র বিশেষ বিশেষ দিনে বিশেষ পুজো হয়ে আসছে। জন্মাষ্টমীর সকাল থেকেই ভক্তরা ভিড় জমান। শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহকে ২০ লিটার দুধ দিয়ে স্নান করানো পর শুরু হবে পুজো।
(Purba Burdwan)
বর্ধমানে ২০০ বছরের রাধা বল্লভ মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মঅষ্টমী পালন ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে। এবছর ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পালিত হবে জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার পুজো করার জন্য তৎকালীন বর্ধমান রাজা কৃতিচাঁদ মাহতাব এই রাধা বল্লভ মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময় থেকে জ ২০০ বছর ধরে মহাসমারোহে পূজিত হচ্ছেন রাধা-কৃষ্ণ। পাশাপাশি বর্ধমান রাজার নির্মিত বেশকিছু মন্দিরের পালিত হচ্ছে জন্মঅষ্টমী পুজো। সব জায়গায় ভক্তদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। শ্রীকৃষ্ণ হলেন দেবকী এবং বাসুদেবের অষ্টম সন্তান। পুরাণ, মহাভারত, ভাগবতের বর্ণনা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনা অনুসারে, কৃষ্ণ মথুরার যাদববংশের বৃষ্ণি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। অরাজকতা, নিপীড়ন, অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছলে অশুভ শক্তির বিনাশ করতে এবং শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে তিনি পৃথিবীতে জন্ম নেন। সেই শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথিতে দিক দিকে চলে উৎসব।