ব্যবসারাজ্যের খবর

উদ্বোধন হল দুর্গাপুর প্রশিক্ষণ মেলার! ক্ষুদ্রশিল্পের মাণোন্নয়নে নজর দিচ্ছে প্রশাসন

Durgapur Training Fair Inauguration

The Truth of Bengal: বড় শিল্পের মাধ্যমে শিল্প সভ্যতা এগিয়ে যায়।কলকারখানার সংখ্যা বাড়লে প্রচুর মানুষের চাকরি হয়।তবে বড় শিল্পের মতোই ছোট শিল্পেও কর্মসংস্থানের রেকর্ড সৃষ্টি করা যায়।ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে ব্যাপক কাজের বাজার সৃষ্টি করে  জাপান প্রাচ্যের মডেল হয়ে উঠেছে।এবার বাংলাতেও এই ক্ষুদ্র-ছোটও মাঝারি শিল্পের হাব গড়ে রোজগারের জোয়ার আনার চেষ্টা হচ্ছে।  ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফলে দেশের মধ্যে  শিল্পক্ষেত্রে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজ্য। এ বার  এই ছোট শিল্পেও বড় কিছু করা  বা প্রথম স্থানে আসার লক্ষ্যে উদ্যোগী সংস্থাগুলিকে ঋণপ্রদানের পরিমাণ আর বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার। যদি এই ঋণের সাহায্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি তাদের পরিধি বাড়াতে পারবে. ,তাতে নতুন কর্মসংস্থানেরও সম্ভাবনা তৈরি হবে।শুধু ঋণদান নয়,শিল্পের দক্ষ কর্মী তৈরি করতে ও স্কিল ডেভালপমেন্টের জন্য দেওয়া হচ্ছে জেলায় জেলায় প্রশিক্ষণ। দুর্গাপুরে এমএসএমই-র প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।তিনি বলেন, বিকল্প ভাবনায় সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার বিজেপি শাসিত রাজ্যকে টেক্কা দিচ্ছে ।

দুর্গাপুরের প্রশিক্ষণ মেলায় কিভাবে অতি সহজেই ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে পারেন বেকার যুবকেরা, সেই সব বিষয়গুলিও তুলে ধরা হয়। আর সেই ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে কিভাবে ঋণ পাওয়া যাবে তাও তুলে ধরা হয়। ক্ষুদ্রশিল্পের নানা অংশে উত্কর্ষের ছাপ রাখছে এই রাজ্যে। শুধু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নয়, এলাকায়- এলাকায় বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানেরও জায়গা করছে রাজ্য সরকার। নেতাজি ইন্ডোরে প্রশিক্ষণপাপ্ত যুবক-যুবতীদের চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন,রাজ্য প্রায় ৯০ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে, যেখানে প্রায় এক কোটি ৩৬ লক্ষ লোক কাজ করে।আরও যাতে রোজগার হয় তার চেষ্টাও জারি রেখেছে বাংলার সরকার।

Related Articles