রাজনীতি

রাজভবনে ‘অ্যান্টি কোরাপশন সেল’

Anti Corruption Cell

The Truth of Bengal: লড়াইটা শুরু হয়েছিল শিক্ষদফতরের একটি বিলকে ঘিরে। শিক্ষামন্ত্রী চেয়েছিলেন রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হোক। এই বিষয়ে বিধানসভায় বিল পাস হলেও, তাতে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচন নিজেকে গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল ঘোষণা করার পর সংঘাত বাড়তে থাকে। সেই সময় রাজভবনেই সি ভি আনন্দ বোস চালু করেছিলেন পিস রুম।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে এটাই ছিল বড়লাটের বড়চমক। তারপর সম্প্রতি এসেছে আমনে–সামনে কর্মসূচি। যেখানে রাজ্যপাল সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এই সবটাই খোলা হয়েছে রাজভবনে। এবার রাজভবনে খোলা হল ‘‌অ্যান্টি কোরাপশন সেল’‌। যার দায়িত্বে স্বয়ং রাজ্যপাল। অর্থাৎ এই সেল খুলে রাজ্যের বিরুদ্ধে কার্যত সম্মুখ সমরে নামার ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যপাল। রাজনৈতিরমহলের মত, রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের জেরে, সংঘাত নয়া মোড় নিতে পারে। অতি সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়েছিল, রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষা দফতরের।

শিক্ষমন্ত্রী ব্রাত্য বসুর অভিযোগ ছিল, রাজ্যপাল শিক্ষাদফতরকে এড়িয়ে একতরফা স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছেন। উপাচার্য নিয়োগের পর, রাজ্য উপাচার্যদের মাস মাইনে, ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার পর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। সেখানেই কার্যত জয় পান রাজ্যপাল। তারপর, এই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তারপরেই রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। তবে রাজভবনে অ্যান্টি কোরপশন সেল খুলে রাজ্যপাল যে পদক্ষেপ করছেন, তা সাংবিদানিক ভাবে ঠিক নয় বলে মনে করছে, রাজনৈতিকমহল।

 

Related Articles