
The Truth of Bengal: ৬ মাসের ওপর একশদিনের কাজে টাকা বন্ধ। বাংলার মানুষের পেটে টান পড়ছে। কাজ করেও পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না লক্ষ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডার। তাই দাবি আদায়ে দিল্লি চলোর মতোই বাংলাতেও গণ-অবস্থানের ডাক দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনের মাটিতে থাকার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে সম্মতি দেন।রোজগার নিয়ে রাজনীতি কেন তার জবাব চায় তৃণমূল স্তরের মানুষ। বাংলা বিরোধী ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে তাই গণ-আন্দোলনের কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্লকে ব্লকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা জানিয়েছেন তিনি।গান্ধীবাদী পথে শান্তির মাধ্যমে খেটেখাওয়া মানুষের টাকা কেন কেন্দ্র দিচ্ছে না তার কৈফয়ত চাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন বিজেপি বিরোধী শিবিরের নেত্রী।তাতেই কী বিজেপি মেজাজ হারাচ্ছে? শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিপথে চালিত করতে গাজোয়ারি আস্ফালনের হুঙ্কার বিজেপি নেতাও জনপ্রতিনিধিদের গলায়। তৃণমূল বলছে,আসলে ভয় পেয়ে বিজেপি কৈফয়ত দিতে চাইছে না? ছাপোষা লোকেদের ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার পরেও কেন এই হুমকির পথ নিতে হচ্ছে কেন্দ্রের শাসকদের?
তৃণমূল আরও বলছে,টাকা যে ইচ্ছে করে আটকে রাখা হয়েছে তা বিরোধী দলনেতার কথাতেই পরিস্কার।কারণ একুশের ভোটে হারের পর যে একশদিনের কাজের টাকা আটকে রাখা হয়েছে,সেই টাকা পঞ্চায়েতের পর আর দেওয়া হবে না। একথা বিরোধী দলনেতার মুখেও শোনা যায়। এই কথায় স্পষ্ট কেন্দ্রের শাসকরা ইচ্ছা করে টাকা বন্ধ রাখছে। তাই প্রশ্নের মুখে পডেই কি বিজেপি হুঁশিয়ারি দিচ্ছে? হিংসা ছড়িয়ে রাজনীতির দাঁড়িপাল্লা ভরতে চাইছে? গান্ধীবাদী পথে আন্দোলনকে কেন বিপথে চালিত করার কৌশল নেওয়া হচ্ছে সেটাও জানতে চায় বাঁকুড়ার সাধারণ মানুষ।