দেবীর নির্দেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নরবলি! কনকদুর্গা মন্দির ঘিরে রয়েছে অজানা কাহিনী
Kanakdurga Mandir

The Truth of Bengal: মনটা উড়ু উড়ু করছে। ঘুরে আসতে পারেন ঝাড়গ্রামের কনকদুর্গা মন্দিরে। কনকদুর্গা মন্দির নিয়ে নানা গল্পকথা প্রচলিত রয়েছে। কনকদুর্গা মন্দির ঝাড়গ্রাম থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ডুলুং নদীর পাড়ে। চিলকিগড় রাজবাড়ির কাছেই এই মন্দির। কনকদুর্গা মন্দিরকে ঘিরে কথিত আছে নানা কাহিনি। দেবী এখানে অশ্বারোহিনী চতুর্ভুজা। ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া কনকদুর্গা মন্দিরে সারা বছরই আনাগোনা চলে ভক্তদের। দূরদূরান্ত থেকে কনকদুর্গা মন্দিরে আসেন ভক্তরা। এখানে অষ্টধাতুর দুর্গা অশ্বারোহিনী এবং দেবীর চারটি হাত। কনকদুর্গা মন্দিরে প্রতিবছরই দুর্গাপুজো হয় ঘটা করে।
পুরনো কনকদুর্গা মন্দিরের পাশেই রয়েছে নতুন মন্দির। আসন্ন দুর্গাপুজোর সময়ে কনকদুর্গা মন্দিরে যেতে পারেন। যদি কলকাতার পুজোর গতানুগতিকতার বাইরে অনন্য অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাহলে কনকদুর্গা মন্দির ভ্রমণ এক অভিজ্ঞতা। কনকদুর্গা মন্দির ৪৩৫ বছরের প্রাচীন বলে অনুমান। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে কনকদুর্গা মন্দির বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। মন্দির চত্বরে রয়েছে সিসিটিভি। কনকদুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে চিল্কিগড়ের রাজবাড়ি। রাজবাড়িটিও দর্শনীয় এলাকা। আগে এখানে নরবলি হত।
সেই নরবলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কথিত আছে, বহুকাল আগেই দেবীর নির্দেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নরবলি। এখন পাঁঠাবলি হয়। কনকদুর্গা মন্দিরে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় হাঁসের ডিম। ভক্তদের বিশ্বাস, কনকদুর্গা মন্দিরে দেবীকে মনস্কামনা জানালে তা পূর্ণ করেন দেবী। মন্দির সংলগ্ন বটগাছের ঝুরিতে ডুরি বেঁধে মানত করলে নাকি মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এমনই বিশ্বাস ভক্তদের। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে জঙ্গল। সেখানে গেলে দেখতে পাবেন গাছ, পাখি এবং বানর। শুধু ধর্মকর্ম নয়, কনকদুর্গা মন্দির দর্শনে গেলে পাবেন প্রকৃতির সান্নিধ্যেও।