কলকাতা

Partha Chatterjee: সাসপেন্ডেড বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আসন নিয়ে জল্পনা, সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে মরিয়া প্রাক্তন মন্ত্রী

জেলমুক্তির পর পরই তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে কাজে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

Truth of Bengal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় সাড়ে তিন বছর জেলে থাকার পর মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখ নেই, ধরে নেওয়া হয়েছে নিকট অতীতের) বাড়ি ফিরেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও বেহালা পশ্চিমের পাঁচবারের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলমুক্তির পর পরই তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে কাজে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শোনা যাচ্ছে, তিনি বিধানসভার আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেও যোগ দিতে চাইছেন। তবে এখানেই প্রশ্ন, দল থেকে সাসপেন্ডেড হওয়ায় তিনি বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে কোথায় বসবেন? বিধানসভার রীতি অনুযায়ী, অধিবেশন কক্ষে স্পিকারের ডানদিকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা। এরপর বৃত্তাকারভাবে বসে থাকেন শাসকদল তৃণমূলের বাকি বিধায়করা। অন্যদিকে, স্পিকারের বামদিকে আসন গ্রহণ করেন প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়করা। এই দুই দলের মধ্যবর্তী স্থানে বসেন আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী  (Partha Chatterjee)।

দল থেকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড হওয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে তৃণমূল পরিবারের অংশ নন। ফলে তিনি তাঁর পুরোনো পছন্দের আসনে বসতে পারবেন না। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে, যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায় অধিবেশনে যোগ দেন, তবে তাঁর বসার ব্যবস্থা সম্ভবত নওশাদ সিদ্দিকীর আসনের পাশেই করা হতে পারে। এ বিষয়ে অবশ্য শাসকদলের তরফে এখনও কেউ মুখ খোলেননি। বাড়ি ফিরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে মরিয়া। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমি বেহালাবাসীর কাছে দায়বদ্ধ। এলাকার মানুষের আস্থা ফেরাতে এবং নিজের স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে তিনি একাধিকবার বেহালায় যাওয়ার কথা বলেছেন।

পাশাপাশি, তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠিও লিখেছেন। সেই চিঠিতে তিনি সরাসরি জানতে চেয়েছেন, চাকরি দেওয়ার বদলে তাঁর নাম করে কেউ টাকা তুলেছেন কি না অথবা তিনি নিজে কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন কি না। তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, “কারও টাকা নিয়ে থাকলে প্রমাণ দিন 9Partha Chatterjee)।”

Related Articles