জাল পরিচয়পত্র নিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশি, কালীঘাট থেকে গ্রেফতার ১
Bangladeshi national in Kolkata with fake ID, 1 arrested from Kalighat

Truth Of Bengal: ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে কলকাতার রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক বাংলাদেশি নাগরিক। পুলিশ আধিকারিকের বাইকে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি। গ্রেফতার হন ওই গাড়ির চালক। আর সেই সূত্র ধরেই ‘ফেক আইডেন্টিটি’-র পর্দাফাঁস। যে পরিচয়পত্র পুলিশকে দেওয়া হয়, সেগুলি সম্পূর্ণ জাল বলেই জানতে পারে পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। অভিযুক্ত গাড়ির চালক ভারতীয়ই নন। গত প্রায় দেড় বছর ধরে ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে কলকাতার উপকণ্ঠে বসবাস করা ওই ব্যক্তিটি আসলে বাংলাদেশের নাগরিক।
রীতিমতো জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে একটি সংস্থার গাড়ি চালাত সে। বিদেশি আইনে আজাদ শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট থানার পুলিশ আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশিদের জাল পরিচয়পত্র বানিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করার চক্রের হদিশ পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। এবার এক বাংলাদেশির কাছ থেকে জালিয়াতি করে বানানো ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার হওয়ার বিষয়টিও পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি কালীঘাট এলাকার কালী টেম্পল রোড ও সদানন্দ রোডের সংযোগস্থলে ঘটে এই পথ দুর্ঘটনাটি। সকালে ওই রাস্তা দিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলেন নেতাজিনগর থানার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর। গাড়িটি তাঁকে সজোরে ধাক্কা মারে। তিনি বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। একাধিক হাড় ভেঙে যায়। আলিপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ওই পুলিশ আধিকারিককে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে গাড়ির চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে।
আজাদ শেখ নামে ওই চালক দাবি করেন যে, তিনি উত্তর ২৪ পরগনার পূর্ব শঙ্করদহ এলাকার বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে আধার কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার হয়। কিন্তু সেগুলি যাচাই করতে গিয়েই চমকে ওঠেন পুলিশ আধিকারিকরা। জানা যায়, সেগুলি জাল। এই ব্যাপারে তাঁকে জেরা শুরু করেন কালীঘাট থানার আধিকারিকরা। তখনই আজাদ স্বীকার করেন যে, তিনি আসলে বাংলাদেশি। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানা এলাকার শেখর অঞ্চলের সহসরিল বাজার গ্রামে। ভুয়ো পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে দক্ষিণ কলকাতার কসবার আরটিও অফিস থেকে রীতিমতো গাড়ি চালানোর পরীক্ষাও দেন তিনি। পরীক্ষায় পাস করার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স পান। সেটি নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি অফিসে গাড়ির চালক হিসাবে যোগ দেন বাংলাদেশের ওই নাগরিক। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করে আরও তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।