ইংল্যান্ড সিরিজে শামির বাদ পড়াটা মেনে নেওয়া যায় না : ইন্দুভূষণ রায়
Husband's omission from England series unacceptable: Indubhushan Roy

Truth Of Bengal: শনিবার আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। এবং দল ঘোষণার পর কি দেখলাম, এই দলে জায়গা হল না পেসার মহম্মদ শামির। শামিকে বাদ দেওয়ার পিছনে নির্বাচকরা যে যুক্তি খাড়া করেছেন বা আগামী দিনে করবেন, সেটা হল শামি নাকি ফিট নয়। যেহেতু টেস্ট ক্রিকেট। তাই লম্বা সময় ধরে বোলিং করার সক্ষমতা এখন শামির নেই। তাই তাঁকে বাদ দেওয়া হল। তর্কের খাতিরে মেনেই নিলাম। কিন্তু প্রশ্নটা হল, নির্বাচকরা আগেই জানতেন বুমরা এই সিরিজে পুরো ম্যাচ খেলবেন না। সেই কথা মাথায় রেখে শামিকে সুস্থ করার পরিকল্পনা কেন গ্রহণ করা হল না? আর যদি তাঁকে বাদ দেওয়াই হবে, তাহলে আমার প্রশ্ন শামিকে আগে থেকে কেন এটা পরিষ্কার করে জানানো হয়নি। যদি এটা হয়ে থাকে, তাহলে বিসিসিআই কর্তারা খুব ভুল করলেন।
আমার মনে হয়, শামি যদি নিজের ৭০ শতাংশও সুস্থ থাকে, তাহলেও ওকে দলে নেওয়া যেতেই পারত। কেননা ওর অভিজ্ঞতাটা টিম ইন্ডিয়ার কাজে লাগাতে পারত। কিন্তু সেই রাস্তাতে নির্বাচকরা হাঁটলেন না। এরপর যদি ইংল্যান্ড সিরিজে ফল খারাপ হয়, তাহলে অবশ্যই দায় নিতে ভারতীয় নির্বাচক কমিটির সদস্যদের। এই দলে শামির বদলে যাঁকে নেওয়া হয়েছে সেই অর্শদীপ তরুণ প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার। টেস্টে ওর অভিজ্ঞতা নেই। সে কারণে শামির মত একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার পাশে থাকলে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বাড়ত। কিন্তু সেটা আর হল না। আসলে আমার মনে এখন এই প্রশ্নই জাগছে, অশ্বিন, রোহিত-বিরাটের পর না শামিকেও ব-কলমে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এবার তোমার পালা!
এরপর যে দল নির্বাচকরা গঠন করেছেন, সেখানে কিছু কিছু জায়গা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যায়। চলতি আইপিএল, এবং ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দুরন্ত খেলা শ্রেয়স আইয়ার কেন বাদ পড়লেন টিম থেকে? এর কোনও সঠিক উত্তর নির্বাচকদের কাছে আছে বলে আমার মনে হয় না। করুণ নায়ারকে ফেরানো হলেও কেন সরফরাজ নয়! আমার মনে হয় করুণ-র থেকে সরফরাজ দলে সুযোগ পেলে অনেক বেশি ভাল হত। টেস্টে ওর অভিজ্ঞতাও ছিল। আমি জানি না নির্বাচকরা কি ভেবে দল গড়েছেন। তবে বাংলা থেকে অভিমূন্য এবং আকাশদীপ সুযোগ পাওয়ায় আমি খুশি। আমার আশা ওদের মূল দলে সুযোগ পাওয়া উচিত।
এই সিরিজে শুভমনের ওপর গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন নির্বাচকরা। অনকে অনেক কথা বলেছেন। আমার মনে হয়েছে শুভমন এর আগে টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কের গুরু দায়িত্ব পালন করেননি। এবার করতে হবে। আমি চাইব ও সাফল্য পাক। কিন্তু ঋষভ পন্থকে এই দায়িত্ব দিলে ভাল হত. কেননা টেস্টের বিষয়ে পন্থের যে অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার ছিল সেটা কাজে লাগত। এখন দেখা যাক শুভমন এই গুরু দায়িত্ব সামলে কতটা ভাল ব্যাটিং করতে পারেন। কেননা ওকে মাথায় রাখতে হবে, সাফল্য না পেলে সমালোচকরা ছেড়ে কথা বলবেন না। সেই চাপ শুভমন কতটা সামলাতে পারে, তা দেখা যাবে ইংল্যান্ড সিরিজেই।