জমি বিবাদের বৃদ্ধকে খুন, দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত
Court sentences two brothers to life imprisonment for murder of elderly man over land dispute

Truth Of Bengal: নয়ন কুইরী, পুরুলিয়া: বৃদ্ধকে খুন করার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দুই ভাইয়ের। আনন্দ গরাই ও বিনন্দ গরাইকে যাবাজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল পুরুলিয়া জেলা আদালত। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে এই দোষিদের সাজা ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা ফাস্ট ট্র্যাক দ্বিতীয় কোর্টের বিচারক সুজয় কুমার সরকার। দুই ভাই এর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে অতিরিক্ত সাজা ঘোষণা করেন তিনি।
দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিবাদ ২০২৩-এর ১৯ ফেব্রুয়ারির রাতে রক্তক্ষয়ী পরিণতিতে পৌঁছয়। রাত আনুমানিক ৯টার সময় বোরো থানার অন্তর্গত দিঘি গ্রামে একটি “লীলাকীর্তন” অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বুন্ডিয়া গ্রামের বাসিন্দা লুথুর মাহাতো উপস্থিত হন। এই সুযোগে, পূর্ব বিরোধের কারণে বুন্ডিয়া গ্রামেরই বাসিন্দা আনন্দ গরাই এবং বিনন্দ গরাই পরিকল্পিতভাবে লুথুর মাহাতোর ওপর আক্রমণ চালান। তাঁকে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়, বিশেষ করে তাঁর দুই পায়ে বড় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে তাঁর মৃতদেহ দিঘি গ্রামের ‘বড়গোড়িয়া’ পুকুরের ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই ঘটনার পর ২৩ সালের ২০ই ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০বি ধারায় মামলা রুজু হয় (মামলা নম্বর ১১/২০২৩)। প্রথমে সাব-ইন্সপেক্টর অনিরুদ্ধ চ্যাটার্জি ও পরে সাব-ইন্সপেক্টর মলয় মিশ্র তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
পুরুলিয়া জেলা পুলিশের ট্রায়াল মনিটরিং টিম, বোরো থানা এবং সরকারি কৌঁসুলি তপন মাহাতোর নিরলস প্রচেষ্টায় কয়েক মাসের বিচারপর্ব শেষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট-২ এর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শ্রী সুজয় কুমার সরকার, অভিযুক্ত আনন্দ গরাই ও বিনন্দ গরাইকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে কঠোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০,০০০ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।