চাকরির সন্ধানে বেরিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু! বদ্রিনাথে রহস্য দানা বাঁধছে
Tragic death while searching for a job! Mystery looms in Badrinath

Truth Of Bengal: দুর্গাপুরের বি-জোন এডিশনের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সি প্রীতম মজুমদারের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের কাঞ্চনানালার গভীর পাইন বনের একটি গাছ থেকে।
জানা গিয়েছে, প্রীতম তার মামার বাড়িতে থাকতেন এবং সেখান থেকেই ৪ তারিখে চাকরির বিষয়ে কথা বলতে কলকাতা যাচ্ছেন বলে জানান। এরপর ১১ তারিখে তাঁর মামা অতনু দাসের সঙ্গে শেষবারের মতো ফোনে কথা হয়। এরপর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
১৩ তারিখ হঠাৎই উত্তরাখণ্ডের জোশিমঠ থানা থেকে ফোন আসে প্রীতমের আত্মীয়দের কাছে। সেখানকার পুলিশ জানায়, বদ্রীনাথের কাঞ্চনানালার এক পাইন বনের মধ্যে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র এবং নথিও পাওয়া গিয়েছে, যার ভিত্তিতেই শনাক্ত হয় প্রীতমের পরিচয়।
এই খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুর্গাপুরের ওই অঞ্চলে। প্রীতমের মামা অতনু দাস জানান, “ওর মৃত্যুর কথা শোনার পর থেকেই আমরা ভেঙে পড়েছি। প্রীতম আমাদের সঙ্গেই থাকত। ও বলেছিল চাকরির ইন্টারভিউ আছে, তাই কলকাতায় যাচ্ছে। আমরা জানতামই না সে উত্তরাখণ্ডে পৌঁছে গিয়েছিল! এখন আমি জোশিমঠ যাচ্ছি। সেখানেই জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।”
ঘটনাটিকে ঘিরে এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়েছে। আত্মহত্যা, না কি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্যজনক কারণ রয়েছে — তা খতিয়ে দেখছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। ইতিমধ্যে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে প্রীতমের আত্মীয়রা জোশিমঠ রওনা দিয়েছেন মৃতদেহ গ্রহণ ও ঘটনার তদন্তে সহযোগিতার জন্য। তাঁদের একটাই দাবি — প্রীতমের মৃত্যুর পেছনের আসল সত্য উদঘাটন হোক এবং যদি কোনো ষড়যন্ত্র থাকে, তবে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। এই ঘটনায় উত্তরাখণ্ড ও দুর্গাপুর — দুই জায়গাতেই গভীর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।