দেশ

ফের গুলির লড়াই! মৃত্যু বিএসএফ কনস্টেবলের

Another shootout! BSF constable dies

Truth Of Bengal: শনিবার রাতে জম্মুর আর এস পুরার সুচেতগড় গ্রামে সংঘর্ষবিরতি ভেঙে ফের গুলি চালায় পাকিস্তান। পাক মর্টারের গোলা এক বাসিন্দার বাড়ির চৌহদ্দিতে এসে পড়ে, ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। এই গুলির লড়াইয়ে বিএসএফ কনস্টেবল দীপক চিমনগাখাম গুরুতর আহত হন এবং পরদিন তাঁর মৃত্যু হয়।

এই বিষয়ে বিএসএফ বাহিনী থেকে এক্স-এ একটি পোস্টে বলা হয়েছে যে, “ডিজি বিএসএফ এবং সকল পদমর্যাদার কর্মকর্তারা কর্তব্যরত অবস্থায় কনস্টেবল দীপক চিংখাম-এর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে সেলাম জানাচ্ছেন। গত ১০ মে জম্মুর আরএস পোড়া এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তানের গুলিতে তিনি আহত হন। আজ ১১ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এই কঠিন সময়ে শোকাহত প্রহরী পরিবার পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আজ (সোমবার) জম্মু সীমান্ত সদর দফতরে পূর্ণ মর্যাদায় (শহীদ জওয়ানের) পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ’নিহত জওয়ান মণিপুরের একজন গর্বিত পুত্র ছিলেন এবং একজন মেইতি সম্প্রদায়ের ছিলেন। এদিকে শনিবারের গোলাগুলির সময় বিএসএফের ৭ম ব্যাটালিয়নের আটজন সদস্য আহত হন। পরে সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ মারা যান।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত অপারেশন সিঁদুর অভিযানের নামে। যাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জঙ্গিঘাঁটিগুলি একেবারে নিঃশেষ করে দেয় ভারত। এরপরেই পাকিস্তান প্রতিশোধ তুলতে ভারতের সীমান্তরক্ষীদের উপর হামলা করে। বিএসএফ এবং পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ১৯ দিন কেটে গেলেও সীমান্তে উত্তেজনা কমেনি।

শনিবার উভয় দেশ স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে সমস্ত সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে সম্মত হয়।  তবে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের এই হামলা প্রমাণ করে, তারা এখনও সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। বলা বাহুল্য, ভারতের সেনাবাহিনী দেশের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

Related Articles