ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে এবার বিপাকে বাংলাদেশি নাগরিকরা
Bangladeshi citizens in trouble amid India-Pakistan war

Truth of Bengal: মাধব দেবনাথ,নদিয়াঃ ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে এবার অতিরিক্ত সর্তকতা জারি করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। মেডিকেল ভিসা ছাড়া যাতায়াত করতে পারছে না বাংলাদেশী নাগরিকরা। সেই ভাবেই তীক্ষ্ণ নজরদারিতে রয়েছে বিএসএফ জওয়ানরা। নদিয়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের আয়তন প্রায় ১০০ কিলোমিটার, যার মধ্যে রয়েছে নদিয়ার করিমপুর তেহট্ট কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। একটানা সীমান্ত লাগোয়া রয়েছে বিএসএফের ক্যাম্প, এছাড়াও কাঁটাতার সংলগ্ন রাস্তায় সবসময় টহল দাড়িতে থাকে বিএসএফ জওয়ানরা। এই মতো পরিস্থিতিতে চলছে ভারত পাকিস্তান ঘাত প্রত্যাঘাত, যানিয়ে ইতিমধ্যে চর্চায় রয়েছে গোটা বিশ্ব।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ানো হয়েছে বিএসএফের বাড়তি নজরদারী। সেই মতো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও নজরদারিতে কোনরকম ঘাটতি না থাকে সেই দিকটাও ভাবা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। কারণ বিগত কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর দুই দেশের সম্পর্ক অনেকটাই নড়বড়ে হয়, বন্ধ হয়ে যায় বাণিজ্যিক ব্যবস্থা। পাকিস্তানকে পাল্টা প্রত্যাঘাতের পর নতুন করে ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারত সরকার, তাই অন্যান্য রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকার মতই অতিরিক্ত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে নদিয়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তেও। বিএসএফ সূত্রে জানা যায় বর্তমান পরিস্থিতিতে মেডিকেল ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের এদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না, জরুরী কারণ থাকলে সঠিক নথিপত্রের ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে ছাড়পত্র।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী সীমান্তে বাড়তি নজরদারি বাড়লেও সম্প্রীতিকালে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করা বাংলাদেশী নাগরিকরা দেশে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে। সঠিক উপায়ে দেশে ফিরতে না পারলে চোরা পথ বেছে নিচ্ছে তারা। আর সেই কারণে পুলিশের জালে ধরা পড়ছে বাংলাদেশী নাগরিকরা। আইনত অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। সূত্রের খবর যতদিন না পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানের পরিস্থিতি সার্বিক না হয় ততদিন পর্যন্ত একই তৎপরতা থাকবে বিএসএফের।