রাজ্যের খবর

‘ইন্টারন্যাশনাল নার্সেস ডে’ তে শুভেচ্ছা জানালেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

State Minister Swapan Debnath visited Kalna Mahakuma Hospital to extend greetings on 'International Nurses Day'

Truth of Bengal:মনিরুল ইসলাম, পূর্ব বর্ধমানঃ সমাজের প্রতি নার্সদের অবদান যেভাবে তাঁরা অসুস্থদের শুশ্রূষা করেন, তা সকলের সামনে তুলে ধরতে এই দিনটি  পালন করে বিশ্ব। ১৮২০ সালের ১২ মে ইতালির অভিজাত পরিবারে জন্ম আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের। ১৯৭৪ সাল থেকে তাঁর জন্মদিনটি ‘ইন্টারন্যাশনাল নার্সেস ডে’ হিসাবে পালিত হয়ে আসছে গোটা বিশ্বে। আধুনিক নার্সিংয়ের জননী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন ১২ মে। তাই এই দিনটি পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস হিসেবে। গোটা বিশ্বে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অন্যান্য পেশার থেকে নার্সের সংখ্যা বেশি। আধুনিকতম স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, রোগীদের চাহিদা সম্পর্কে ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের আয়োজন ইত্যাদি পড়ে তার মধ্যে। প্রতিটি দেশ নিজের নিজের মত করে পালন করে এই দিনটি।

ডার্বিশায়ার থেকে ১৭ বছর বয়সে লন্ডনে আসেন ফ্লোরেন্স। সেই সময়ে লন্ডনের হাসপাতালগুলোর অবস্থা ছিল খুবই করুণ। এর অন্যতম কারণ সে সময়ে কেউ সেবিকার কাজে এগিয়ে আসতেন না। কারণ সামাজিক ভাবেও মর্য়াদা দেওয়া হত না এই পেশাকে। তবে নাইটিঙ্গেল জানতেন পৃথিবীতে তিনি এসেছেন সেবিকা হওয়ার জন্যই। বাবা মা বিরূপ বিরূপ হয়েছেন সময়ে সময়ে। আশা ছাড়েননি ফ্লোরেন্স। অবশেষে বাবা-মায়ের অনুমতি মিললে তিনি ১৮৫১ সালে নার্সের প্রশিক্ষণ নিতে জার্মানিতে উড়াল দেন। নার্স প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। প্রায় ভিক্ষে করে জোগাড় করেছিলেন ৪৫ হাজার পাউন্ড। লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে নার্সিংকে সম্পূর্ণ পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ১৮৬০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল’ যার ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল স্কুল অব নার্সিং’। ডা. এলিজাবেথ ব্ল্যাকওয়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ১৮৬৭ সালে নিউইয়র্কে চালু করেন ‘উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ’। কাটোয়ার বিশিষ্ট সমাজসেবী অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ভারতবর্ষের গ্রামীণ মানুষের সেবায় এ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের মানুষের সেবায় তাঁর দৃষ্টান্তমূলক অবদানের জন্য ১৮৮৩ সালে রাণী ভিক্টোরিয়া তাঁকে ‘রয়েল রেডক্রস’ সম্মানে সম্মানিত করেন। ১৯০৭ সালে প্রথম মহিলা হিসাবে ‘অর্ডার অব মেরিট’ সম্মানে সম্মানিত হন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল। ১৯০৮ সালে পান লন্ডনের ‘অনারারি ফ্রিডম’ উপাধিও।

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন হেড নার্স। ইংরেজ-তুর্কি নির্বিশেষে দু’দেশের আহত মুমূর্ষু সৈন্যদেরই দিনরাত ধরে প্রাণ ঢেলে সেবা করেন তিনি। গভীর রাতে হাসপাতালের করিডোরে রোগীদের প্রয়োজন দেখতে হাতে মোমবাতি নিয়ে তিনি হেঁটে বেড়াতেন। তাই এখনও মানুষ স্মরণে রেখেছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে নার্স দিবস এই সময়ে দাঁড়িয়ে সকলের কুর্নিশ জানিয়ে বলেন মন্ত্রী অন্যতম হলেন নার্সরা। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক নার্স দিবসে তাই নতুন করে সকলের শুভেচ্ছা ও ভালবাসা বর্ষিত হচ্ছে সেবিকাদের প্রতি। যাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সংক্রমিত মানুষদের সেবা করতে এক মুহূর্তও ভাবেন না। আজকের দিনে তাঁদের শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন কালনা মহাকুমা হাসপাতালে ও রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে নার্সদের রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।

Related Articles