কলকাতা

সুখটানেই মৃত্যুফাঁদ মহানগরীতে! প্রতি একশো জনের মধ্যে হাঁপানির শিকার দশ জন

Sukhtanei is a death trap in the metropolis! Ten out of every hundred people suffer from asthma

Truth Of Bengal: হাঁপানি এখন আর শুধু জেনেটিক বা বংশগত রোগ নয়—শহরের পরিবেশ, দূষণ, ও বদলে যাওয়া জীবনের ধারা এই রোগকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলছে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য—কলকাতার প্রতি একশো জনের মধ্যে অন্তত ১০ জন হাঁপানির সমস্যায় ভুগছেন!

বিশ্ব হাঁপানি দিবসে এই রিপোর্ট সামনে আসতেই চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের কপালে। ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ধীমান গঙ্গোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, “হাঁপানি হচ্ছে ফুসফুসের এমন একটি সমস্যা, যেখানে বাতাস চলাচলের সূক্ষ্ম নালিগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। এতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুক চাপে, রাতে শ্বাসকষ্ট বাড়ে।”

ধূমপান এই রোগের অন্যতম বড় কারণ। শুধু সক্রিয় ধূমপান নয়, আশেপাশের কারও ধোঁয়াও (প্যাসিভ স্মোকিং) হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, কলকাতার ৩৮ শতাংশ মানুষ প্যাসিভ স্মোকিংয়ে আক্রান্ত। বিশেষ উদ্বেগের বিষয়, অনেক কম বয়সেই তরুণ-তরুণীরা সিগারেট ধরছেন। এছাড়া, জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, বাংলার প্রায় অর্ধেক মানুষ তামাকে আসক্ত।

বস্তি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সমস্যা আরও ভয়াবহ। রান্নার ধোঁয়া, খারাপ বায়ু চলাচল, এবং ভেন্টিলেশনের অভাবে ফুসফুসে প্রভাব পড়ছে। বহু বাড়িতেই নেই ঠিকঠাক হাওয়ার যাতায়াত, যার ফলে ধোঁয়া থেকে হাঁপানির সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।

কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. অরূপ চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, “আধুনিক জীবনে দূষণ, ধুলো, পশুর লোম, ফুলের রেণু এমনকি গন্ধযুক্ত জিনিসও হাঁপানির কারণ হতে পারে। যাঁদের এই রোগ রয়েছে, তাঁদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত চিকিৎসা, ইনহেলার ব্যবহার, ধূমপান থেকে দূরে থাকা ও দূষণ রোধ করলেই হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Related Articles