বাংলাদেশে পাচারের আগেই উদ্ধার ১২০০ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল, পুলিশের বড় সাফল্য নদিয়ায়
1,200 bottles of banned Phensedyl seized before being smuggled into Bangladesh, major police success in Nadia

Truth Of Bengal: মাধব দেবনাথ,নদিয়া: নদিয়ার চাপড়া থানার পুলিশের সাফল্য ফের একবার প্রমাণ করল যে, সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক পাচার রুখতে তারা কতটা সক্রিয়। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি গাড়ি থেকে প্রায় ১২০০ বোতল নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ, অর্থাৎ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, এই বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে পাচারের আগেই সেটি আটকে দিতে সক্ষম হয় চাপড়া থানার পুলিশ।
সূত্রের দাবি, এই পাচারচক্র সম্পর্কে পুলিশের কাছে আগেই সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল। সেই মোতাবেক তারা তৎপর হয়ে তল্লাশি অভিযান চালায়। গাড়িটি করিমপুর থেকে কৃষ্ণগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি চালালে বোতলভর্তি ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। গাড়ির চালকের নাম শংকর ঘোষ বলে জানা গিয়েছে, এবং তাকেও ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনার পর নদিয়া জেলাজুড়ে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ কিছুদিন আগেই গেদে সীমান্ত এলাকা থেকে একটি কংক্রিটের বাঙ্কার উদ্ধার হয়, যেখানে লক্ষ লক্ষ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল মজুদ করে রাখা হয়েছিল। সেই সময় গোটা জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ তখন থেকেই উৎকণ্ঠায় ছিলেন, কীভাবে এই পাচারকারীরা সীমান্তের এতটা কাছে এসে এত বড় পরিমাণে মাদক মজুদ করতে পারে তা নিয়ে।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় ধরনের ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনের ভূমিকা ও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়ে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, পাচারকারীদের ধরতে এবং গোটা চক্রের মূল হোতাদের সন্ধানে তদন্ত জারি আছে। পুলিশের এই তৎপরতায় আপাতত বড় ধরনের একটি মাদক পাচারের ছক ভেস্তে গেলেও, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আরও কঠোর নজরদারি ও আন্তঃরাজ্য সমন্বয়ের দাবি উঠছে সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজের তরফে।