দেশ

রেশনে কেরোসিন বরাদ্দে নতুন নিয়ম, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বাংলা

New rules for allocating kerosene in ration, Bengal angry with the Center's decision

Truth Of Bengal: রেশনের কেরোসিন নিয়ে ফের বিতর্ক। কেন্দ্র নতুন নীতি এনেছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের ভাগ্য আরও সংকুচিত হতে চলেছে—এমনটাই আশঙ্কা রাজ্য প্রশাসনের।

নতুন নীতি অনুযায়ী, গত তিন অর্থবর্ষের মধ্যে যে বছরে একটি রাজ্য সবচেয়ে বেশি কেরোসিন তুলেছে, সেটিকে ধরা হবে সেই রাজ্যের বরাদ্দের ভিত্তি। সেই বরাদ্দই চলবে পরবর্তী দু’বছর। এই পদ্ধতি কার্যকর হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্তি আরও কমবে বলেই মনে করছেন রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।

কেরোসিন নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিবাদ দীর্ঘদিনের। কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল সেই টানাপোড়েন। হাইকোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, একটি স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত নীতি তৈরি করতে হবে। তারই ফলশ্রুতি এই নয়া ফর্মুলা।

পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের যুক্তি, কেরোসিন থেকে দূষণ ছড়ায় এবং জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তাই ২০১১ সাল থেকেই কেন্দ্র কেরোসিনের ব্যবহার কমানোর পরিকল্পনায় কাজ করছে। ভর্তুকি তুলে রান্নার গ্যাস ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প চালু হয়েছে সর্বত্র। ২০টি রাজ্য ইতিমধ্যেই কেরোসিন বরাদ্দ ত্যাগ করেছে। তবে কিছু রাজ্য এখনও পিছু ছাড়ছে না, তাদের জন্যই নতুন ফর্মুলা।

কেরোসিন ডিলার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত জানাচ্ছেন, “কেরোসিনের দাম এতটাই বেড়েছে যে গরিব মানুষ সেটা আর কিনতেই পারছে না। মার্চ-এপ্রিল মাসে লিটারে সাড়ে ৭ টাকা কমলেও, এখন দাম ৫৬ টাকা। কয়লা আর কাঠই ভরসা হচ্ছে বহু পরিবারের।”

রাজ্য সরকারের দাবি, পুরনো বরাদ্দ বজায় রাখা উচিত। কারণ এখনও বাংলার বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলে রান্নার গ্যাস বা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়—কেরোসিন ছাড়ার আগে, আদৌ বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থাটা সম্পূর্ণ হয়েছে তো?

Related Articles