করাচির বন্দরে তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজ! কূটনৈতিক সৌজন্য নাকি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত?
Turkish warship in Karachi port! Diplomatic courtesy or a sign of conspiracy?

Truth Of Bengal: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর এশিয়ার ভূখণ্ডে যুদ্ধের উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। ২২ এপ্রিলের সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা এখন চরমে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই রবিবার করাচি বন্দরে ভিড়েছে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ ‘টিসিজি বুয়ুকডা’। পাক নৌসেনা জানিয়েছে, সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করতেই এই সফর। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আগমন কেবলমাত্র কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং বড় কোনো সামরিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত হতে পারে।
ভারত ইতিমধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে। সেনাবাহিনী তিন বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং মোদি সরকারের তৎপরতা বড়সড় পাল্টা হামলার ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান তাদের বন্ধু দেশগুলোর কাছে সাহায্য চেয়েছে। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে চিন ও তুরস্ক। তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের সামরিক সহায়ক। সাবমেরিন, ড্রোন থেকে শুরু করে নানা আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে তারা।
সম্প্রতি করাচি বিমানবন্দরে তুরস্কের সাতটি হারকিউলিস বিমান নামার ঘটনাও নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে। যদিও তুরস্কের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই বিমানগুলো অস্ত্রবাহী নয়, শুধু মাত্র জ্বালানির জন্য সেখানে নেমেছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তান এখন চিন ও তুরস্কের উপর ভরসা করছে। ইতিমধ্যেই চিন পাকিস্তানে পাঠিয়েছে শক্তিশালী পিএল-১৫ মিসাইল। এই মিসাইল জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যাবে এমন ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে করাচি বন্দরে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি, তুরস্ক-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা এবং অস্ত্র নিয়ে চলা নানা গোপন তৎপরতা গোটা উপমহাদেশে যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।