রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘পিস কিপিং মেডেল’ পেল সাগরকন্যা কাকলি মান্না
Sagarkanya Kakli Manna receives UN Peacekeeping Medal

Truth of Bengal: সৌরভ নস্কর, গঙ্গাসাগরঃ রাজ্যের প্রান্তিক এলাকা এই প্রথম মহিলা হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘পিস কিপিং মেডেল’ পেলেন গঙ্গাসাগর বিধানসভার রাধাকৃষ্ণপুরের মেয়ে কাকলি মান্না। গঙ্গাসাগরের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা কাকলি এক বছর আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনের বিশেষ দলের সঙ্গে আফ্রিকার কঙ্গোয় গিয়েছিলেন। সেখানে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জঙ্গি দমনের লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তাই রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে কুর্নিশ জানানো হল বিএসএফের ১০৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের এই সদস্যকে। কঙ্গো থেকে ফোনে কাকলি বলেন, ‘এই স্বীকৃতি পেয়ে আমি খুবই আপ্লুত। গত এক বছর ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলেছে। ঝুঁকি থাকলেও আমরা এই কাজ থেকে পিছিয়ে আসিনি। আগামী ১ মে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে জঙ্গি হামলা হওয়ায় আরও কিছুদিন থেকে যেতে হবে।’ তবে তিনি বাড়ি আসার জন্য মুখিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন।
এই সম্মান এর আগে সাগর বা সমগ্র সুন্দরবন এলাকা থেকে কেউ পাননি বলেই জানা যাচ্ছে। তাই কাকলিদেবীর এই সাফল্য অনেককে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিএসএফের এই জওয়ানের পরিবারে বাবা-মা ছাড়াও রয়েছেন পাঁচ ভাই। মেয়ের সাফল্যে খুশি তাঁরা। কাকলি কবে সেই ফিরবেন, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে পরিবার। কাকলির এই সম্মানে আনন্দিত সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা। কাকলির পরিবারকে পুষ্প স্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানাচ্ছেন এলাকার মানুষজনের। এলাকাবাসীদের কাছ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে খুশি মান্না পরিবার। কাকলি মান্নার দাদা স্বপন মান্না তিনি জানান আমার বোন যেভাবে প্রশংসিত হচ্ছে আমি চাই। আরো বড় হোক এবং ভারতবর্ষ তথা সাগরদ্বীপের নাম আরো উজ্জ্বল করুক। কাকলির সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরে কাকলির দাদা স্বপন মান্না। কীভাবে নিজের অদম্য জেদের ওপর ভরসা করে নিজের লক্ষ্য পূরণ করছে কাকলি। রুদ্রনগর পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে কাকলির পরিবারকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
এবিষয়ে রুদ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মানিক নায়ক জানান, “যেভাবে সাগরের মেয়ে কাকলি মান্না দেশ ও সাগরদ্বীপের নাম উজ্জ্বল করেছে আমরা চাই আরো উন্নতি করুক কাকলি। কাকলির এই সাফল্য সাগরদ্বীপ বাসী হিসাবে আমরা গর্বিত বোধ করছি। এ বিষয়ে সাগরদ্বীপের বাসিন্দা পলাশ দাশ তিনি বলেন কাকলির এই সাফল্যে আমরা খুব গর্বিত বোধ করছি। আমরা চাই কাকলি এভাবেই এগিয়ে চলুক। জুলাই মাসে যখন কাকলি বাড়ি ফিরবে তার এই বীরত্ব জন্য আমার সবাই কাকলিকে সংবর্ধনা জানাবো। আমরা চাই কাকলি, সুস্থ থাকুক এবং এভাবেই নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণ করুক।”