রাজ্যের খবর

রিষড়ার জওয়ান পূর্ণম এখনও বন্দি, পরিবারে উদ্বেগের মাঝেও আশার আলো

Rishara jawan Purnam is still in custody, a ray of hope amidst worries in the family

Truth of Bengal: সৌগত রায়,হুগলি: রাজস্থানে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের এক জওয়ানকে বিএসএফ-এর হাতে আটক করার ঘটনায় রিষড়ার বাসিন্দা ও পাক বন্দি বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউয়ের পরিবার কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। প্রায় ১২ দিন ধরে পাকিস্তানে বন্দি রয়েছেন পূর্ণম। ফেরার কোনও খবর না থাকায় পরিবারে উদ্বেগ বাড়লেও, এই পাল্টা আটকের ঘটনায় কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন স্ত্রী রজনী সাউ ও পরিবারের সদস্যরা।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে ডিউটিরত অবস্থায় ভারতীয় সীমা অতিক্রম করে পাকিস্তানে চলে যান পূর্ণম। এরপর পাকিস্তানি রেঞ্জাররা তাঁকে আটক করে। ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে একাধিকবার ফ্ল্যাগ মিটিং হলেও পাকিস্তান পূর্ণমকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে অনীহা দেখিয়ে এসেছে। এমনকি পরিবারও জানে না, এখন পূর্ণম কী অবস্থায় রয়েছেন।

কিন্তু শনিবার রাজস্থানের ফোর্ট আব্বাস সীমান্তে বিএসএফ পাক রেঞ্জার্সের এক জওয়ানকে আটক করলে পরিস্থিতির মোড় ঘোরে। রজনী সাউ মনে করছেন, এবার অন্তত ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ নীতিতে পূর্ণমের মুক্তি সম্ভব হতে পারে।

সম্প্রতি রজনী সাউ ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য পাঠান কোর্টে গিয়ে বিএসএফ-এর ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের আশ্বস্ত করা হয় যে, পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চলছে। রজনী জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি দিল্লি গিয়ে বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

পূর্ণমের দীর্ঘ অনুপস্থিতি, তার বর্তমান অবস্থার অজানা খবর এবং পরিবারের উৎকণ্ঠা—সব মিলিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটছে রিষড়ার এই পরিবারের। তবে পাক জওয়ান আটক হওয়ায় কূটনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে পূর্ণমের মুক্তির সম্ভাবনা জোরালো বলেই মনে করছেন সকলে।

এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহল থেকেও দ্রুত পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠে আসছে। এখন নজর ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত আলোচনার দিকেই।

 

Related Articles