কলকাতার মেছুয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত ১৪, ঘটনার তদন্তে ‘সিট’
Kolkata: Fire breaks out at Mechua market, 14 dead

Truth of Bengal: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টিতে এক হোটেলে ভয়াবহ আগুনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৪ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু এবং আনন্দ পাসোয়ান নামে এক ব্যক্তি, যিনি আতঙ্কে উপর থেকে ঝাঁপ দেন। মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলকাতার মেছুয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড pic.twitter.com/aj4mBx5iLh
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) April 30, 2025
হোটেলে থাকা অধিকাংশ মানুষ ঘরের ভিতরে আটকে পড়েছিলেন। প্রবল ধোঁয়ায় শ্বাস নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। ধোঁয়ার কারণেই হোটেলটি কার্যত ‘গ্যাসচেম্বার’-এর মতো হয়ে যায়। দমকল কর্মীদের ভিতরে ঢুকতে সমস্যায় পড়তে হয়। পরে তাঁরা মই দিয়ে উপরের তলার জানলা ভেঙে উদ্ধার অভিযান চালান।
ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ফরেন্সিক দল বুধবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার উৎস খুঁজে দেখবে।
হোটেলটি ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। আশেপাশে প্রচুর দোকান ও আবাসিক বাড়ি থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ আগুন লাগে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন টানা ৮ ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও পুরোপুরি নেভানো যায়নি।
রাতভর উদ্ধারকাজে তৎপর ছিল দমকল ও পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, নগরপাল মনোজ বর্মা এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
হোটেলটিতে অন্তত ৪৭টি ঘর ছিল এবং বেশিরভাগ ঘরই ছিল ভরতি। রাজ্য ও বাইরের রাজ্যের বহু মানুষ সেখানে ছিলেন। অনেকেই আতঙ্কে জানালা বা কার্নিশে উঠে পড়েন। তাঁদের মই দিয়ে নামানো হয়।
এই ঘটনায় শহর জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এমন অগ্নিকাণ্ড ঘটল এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।