আন্তর্জাতিক

সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হতেই দিল্লিকে হুঙ্কার পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের

PM Shahbaz slams Delhi over suspension of Indus Treaty

Truth Of Bengal: পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। দুদেশই একে অপরের ওপরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি  গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে  সবথেকে কঠোর সিদ্ধান্ত হল ভারতের সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করা। এরফলে বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। এরপরেই সে দেশে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে এই বিষয়ে। মুখে স্বীকার না করলেও, ভারত চুক্তি স্থগিত করে দেওয়ায়, পাকিস্তানকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বেগ পেতে হবে, তা স্পষ্ট পাক নেতাদের গলায়। এই আবহে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, পাকিস্তানের জল কমানোর বা অন্যদিকে সরানোর  প্রচেষ্টা করে পাকিস্তান পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে। আমরা যেকোনো দুঃসাহসের জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এ ব্যাপারে কখনই ভুল করা উচিত নয়।  আমরা আমাদের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার সাথে কখনও আপস করব না।

অন্যদিকে কেন্দ্রের সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরই হুঙ্কার দিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি এক কর্মসূচি থেকে বলেন, সিন্ধু নদ আমাদের এবং আমাদেরই থাকবে। এখানে হয় জল বইবে না হলে তাঁদের রক্ত বইবে।তাঁর দাবি, সিন্ধু সভ্যতা আসলে পাকিস্তানেরই। এখান থেকেই স্পষ্ট যে, সিন্ধু নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপে বেশ চাপের মধ্যে পড়েছে পাকিস্তান। কারণ, পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে যে জলের জোগান যায় সিন্ধু নদী থেকে, সেই ক্ষেত্রে বিপদে পড়তে পারে পাকিস্তান। সেইজন্য ভারত সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করতে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে পাক সরকার। বলা বাহুল্য, ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়ার পরই বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও। আড়াই ঘণ্টার বৈঠকের পর পাকিস্তানের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভারত যে যে পদক্ষেপ করেছে তার জবাবে তারাও বাণিজ্য সম্পর্ক সহ আকাশপথ বন্ধ করে দেবে। সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে কোনও বিরূপ পদক্ষেপকে যুদ্ধের সমতুল্য বলেই বর্ণনা করেছে পাক সরকার।

উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। এই  জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল , আত্তারি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পাক হাই কমিশন বন্ধ, সার্ক ভিসায় ভারতে আসা পাক নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ সহ কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া একাধিক পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ভারতের বিদেশ সচিব সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন।  আর তাতেই বেশ চাপে মধ্যে পড়েছে পাকিস্তান।

Related Articles