বড় উদ্যোগ রাজ্যের! এবার থেকে ছোট অস্ত্রোপচারেও মিলবে মেডিক্লেমের সুবিধা
Big initiative of the state! From now on, medical facilities will be available for minor surgeries

Truth Of Bengal: চোখে ছানি পড়েছে? নাকি পাইলসের কষ্টে ভুগছেন? আধ ঘণ্টার ছোট অস্ত্রোপচার করাতে হবে? এতদিন এই ধরণের অস্ত্রোপচারে মেডিক্লেমের টাকা মিলত না—তাই ভোগান্তি পোহাতে হত সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এবার বদল আসছে নিয়মে।
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে ১১টি স্বাস্থ্যবিমা সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, এবার থেকে ‘ডে কেয়ার সার্জারি’-র খরচও বিমার আওতায় আনা হবে। ‘ডে কেয়ার সার্জারি’ মানে এমন অস্ত্রোপচার যেটা করাতে হাসপাতালে ভর্তি থাকার দরকার হয় না। যেমন—চোখের ছানি, চোখে কিছু ঢুকে গেলে তা বার করা, পাইলস বা ফিসচুলার অপারেশন, এমনকি জিভে কেটে গেলে ছোট সার্জারিও এই তালিকায় পড়ে।
কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এতদিন কিছু হাসপাতাল রোগীকে জোর করে ভর্তি করে রাখত, শুধু বিমার টাকা তুলতে। এখন এই অনিয়ম আর চলবে না। ডে কেয়ার সার্জারির খরচও কভার করবে ইনসিওরেন্স কোম্পানিগুলো।”
এই বৈঠকে আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতদিন গ্লাভস, মাস্ক, সিরিঞ্জ, তুলো, গজ—এইসব ‘কনসিউমেবেল আইটেম’-এর জন্য বিমা থেকে টাকা মিলত না। রোগীকে নিজে থেকেই দিতে হত অতিরিক্ত খরচ। এখন থেকে সেগুলোও মেডিক্লেমে ধরা হবে।
বৈঠকে ছিলেন কমিশনের অন্য সদস্যরাও—ডা. মাখনলাল সাহা, ডা. মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিনোদ কুমার এবং বিমা সংস্থার আধিকারিকেরা। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বিমার কাগজপত্রে দেরি হলেও রোগীকে আটকে রাখা যাবে না।
অনেক হাসপাতাল বলে—‘টিপিএ অনুমোদন দিচ্ছে না’, তাই রোগী ছাড়ছি না। কিন্তু টিপিএদের দাবি, “আমরা সময়মতো অনুমোদন দিই, হাসপাতালই ঠিকমতো কাগজ জমা দেয় না।” এই নিয়ে স্বাস্থ্য কমিশন কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, রোগীর দোষ নেই। তাকে আটকে রাখা চলবে না। সমস্যা থাকলে হাসপাতাল ও বিমা সংস্থা নিজেরা মিটিয়ে নেবে।