নববর্ষে পুলিশের মানবিক রূপ, উচ্ছ্বসিত জঙ্গলমহলবাসী
Jangalmahal residents are excited about the humane appearance of the police in the New Year

Truth Of Bengal: বাংলা নববর্ষে নতুন উদ্যমে ধরা দিল খাকি উর্দির মানবিক রূপ। নববর্ষের আগে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগে মেতে উঠল গোটা জঙ্গলমহল। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে বেলিয়াবেড়া থানার সহযোগিতায় এবং পুলিশের ‘সহায় প্রকল্প’-এর আওতায় আয়োজিত হল এক বিশেষ সমাজসেবামূলক কর্মসূচি। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের খামার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বস্ত্র ও মশারি বিতরণ কর্মসূচি।
প্রায় দুই শতাধিক দুঃস্থ গ্রামবাসীর হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন শাড়ি ও মশারি। শুধু তাই নয়, ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে চালু হওয়া সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ‘দিশা কোচিং সেন্টার’-এর প্রায় ৩৭৫ জন ছাত্র-ছাত্রীদের উপহার দেওয়া হয় শিক্ষা সামগ্রী ও মশারি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) সৈয়দ মোহাম্মদ মামদুল্লা হাসান, ডিএসপি সমীর অধিকারী, গোপীবল্লভপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টর দেবাশীষ ঘোষ, বেলিয়াবেড়া থানার ওসি সুদীপ পালোধী সহ পুলিশের একাধিক আধিকারিক।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা জানান, “ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের ‘সহায় প্রকল্প’-এর মাধ্যমে জেলার প্রতিটি থানায় নিয়মিতভাবে সমাজসেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এই আয়োজন সেই ধারারই একটি অংশ। ভবিষ্যতেও এই উদ্যোগ জেলাজুড়ে অব্যাহত থাকবে।” এই বিশেষ কর্মসূচিতে পুলিশের ভূমিকা দেখে খুশি এলাকার মানুষ। তাঁদের কথায়, “পুলিশ যে শুধু কঠোর দমননীতির প্রতীক নয়, মানবিক সহায়তার মাধ্যমও হতে পারে, তা বারবার প্রমাণ করছে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ।”
জঙ্গলমহলে শান্তির দূত হয়ে নিরবে সমাজসেবায় নিযুক্ত এই পুলিশ সদস্যরা প্রমাণ করছেন, রাষ্ট্রের সব বাহিনী সমালোচনার নয়—অনেকেই আছেন নিঃস্বার্থে পাশে দাঁড়াতে। নববর্ষে এই মানবিক উদ্যোগ সমাজে পৌঁছে দিল এক ইতিবাচক বার্তা। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনে জঙ্গলমহলের পুলিশ সাধারণ মানুষের মনে এক আলাদা আস্থা গড়ে তুলেছে। এলাকাবাসীর অন্তর থেকে উঠে আসা শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতায় ধন্য জেলা পুলিশ। এই ধরনের উদ্যোগ সমাজে এক ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেয় এবং পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় হয়।