খেলা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ না পেয়েই নিজেকে তৈরি করেছি : মহম্মদ সিরাজ

I prepared myself without getting a chance in the Champions Trophy: Mohammad Siraj

Truth Of Bengal: মহম্মদ সিরাজ। মাত্র কয়েক মাস আগেও তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন। পিছনে ফিরে তাকালে মনে পড়বে সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় বোলিং দল গড়ার সময় তাঁকেই আগে প্রাধান্য দেওয়া হত। কিন্তু এখন সময় বদলেছে।

সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি মেন-ইন-ব্লুজদের হয়ে দলে সুযোগ পাননি। এমনকি, আইপিএল-ও তাঁকে ছেটে ফেলেছে তাঁর পুরনো দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। যা একেবারেই ভালভাবে মেনে নিতে পারেননি হায়দরাবাদী এই পেসার।

যে কোনও খেলোয়াড়দের কাছেই যাবতীয় সমালোচনার জবাব দেওয়ার জায়গা হচ্ছে মাঠ। সিরাজও তার ব্যতিক্রম নন। কঠিন এই সময় অতিক্রান্ত করেছেন কি না তা সময় বলবে। তবে আইপিএল-র ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে দু-দুবার ম্যাচের সেরা হয়ে সিরাজ নিজের চূড়ান্ত ফর্মে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছেন বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

রবিবার সানরাইজার্স হায়দবারাদের বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে আবার দেখা গিয়েছিল সিরাজ সাইক্লোন। মাত্র ১৭ রান দিয়ে একাই ঝুলিতে পুড়েছেন চার উইকেট। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন এই হায়দরাবাদী পেসার। পুরস্কার মঞ্চ থেকেই সিরাজ বলেন, ‘আসল কথা হল, সবারই স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে মাঠে নামা।

কিন্তু আমি এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাইনি। যা আমাকে প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়েছিল। কিন্তু তবুও বলছি, আমি সুযোগ না পেয়ে হতাশ হইনি। বরং নিজেকে আবারও সেরা ফর্মে ফিরে পাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। পরিশ্রম করেছি। এমনকি যে ভুলগুলি করেছিলাম, সেগুলিও শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন আমি আমার বোলিং উপভোগ করছি।’

উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল থেকে যখন সিরাজ বাদ পড়েছিলেন, ঠিক সেই সময় তাঁর মনে মনে নিজের ওপর রাগ হলেও, তা এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন বলে জানান এই হায়দরাবাদী পুলিশ অফিসার। এই ব্যাপারে তিনি জানান, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে আপনি যখন জাতীয় দলের হয়ে খেলার পর দল থেকে বাদ পড়েন, তখন শুধু আমার নয়, আমার মনে হয়, যে কোনও কারোরই মনে একটা সন্দেহ তৈরি হয়। এই কারণেই নিজের ওপর সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমি কঠিন সেই সময় নিজের মনকে বুঝিয়েছি, ভাল খেলা সম্ভব। এটাই এখন হচ্ছে। আবার পুরনো ছন্দে ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছি দেখে বেশ আনন্দ হচ্ছে আমার।’

সানরাইজার্স ম্যাচে সিরাজের শিকার হয়েছেন, ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মারা। তারপর শেষ স্পেলেও উইকেট পেয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সিরাজ জানান, ‘বলে থুথু ব্যবহার করার সুযোগে বল ভাল সুইং করছে। ফলে ব্যাটারদের বোল্ড বা এলবিডব্লুউ করা অনেক সহজ হচ্ছে।’

সিরাজ আইপিএল-এ গুজরাট দলের হয়ে খেললেও আদতে কিন্তু সে হায়দরাবাদের ছেলে। তাঁর জন্মও নিজামের শহরে। রবিবার নিজের শহরের দলের বিপক্ষেই ঘরের মাঠে বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। আর হায়দরাবাদের ঘরের ছেলে হওয়ায় এই মাঠের পিচ তাঁর নখদর্পণে। এই ম্যাচে সেটাই কি কাজে লাগালেন?

এর উত্তরে সিরাজ জানান, ‘এই মাঠের উইকেট একটু স্লো ছিল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছি আমি। পাশাপাশি ঘরের মাঠে খেলার আনন্দটাই আলাদা। পাশাপাশি আমার পরিবারের সদস্যরাও এই ম্যাচে মাঠে এসেছিলেন। কাজেই তাঁদের সকলের সামনে ম্যাচের সেরা হওয়ার আনন্দটাই আলাদা।’

Related Articles