ইডেনে বাজবল খেলতে গিয়েই বিপদে পড়ল হায়দরাবাদ
Hyderabad in trouble while playing baseball at Eden

Truth Of Bengal: ইন্দুভূষণ রায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার: বৃহস্পতিবার আইপিএল-এর ম্যাচে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই ম্যাচটাতে কলকাতা নাইট রাইডার্স যোগ্য দল হিসাবেই জয় পেয়েছে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে অন্যদের মতো আমিও অবাক হয়েছি একপেশে একটা ম্যাচ দেখে।
আমি আশা করেছিলাম ইডেনে এই ম্যাচটাতে অন্তত দুই দলের মধ্যে একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সেটা একেবারেই দেখতে পেলাম না। বিশেষ করে হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইন আপ আমাকে যথেষ্ট হতাশ করেছে। অভিষেক শর্মা থেকে শুরু করে ট্রাভিস হেড এবং ইশান কিষাণ যেভাবে নাইট বোলারদের সামনে আত্মসমপর্ণ করল তা দেখে আমি হতবাক হয়েছি।
আমার কিছুতেই বোধগম্য হল না অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইলে কেন ওরা নাইটদের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে গেল। এটা কামিন্সদের মাথায় রাখা উচিত ছিল বাজবল ক্রিকেট সবসময় ধোপে টেকে না। কথায় আছে, ‘হয় ছক্কা না হয় ফক্কা’ ইডেনে সেটাই হয়েছে ওদের ক্ষেত্রে। তার ফলেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছে কামিন্সের দল।
হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইনআপের এই ভগ্নদশার সুযোগটাই পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন নাইট বোলাররা। বৈভব থেকে শুরু করে বরুণ দারুণ বোলিং করে ঘরের মাঠের ফায়দা তুলে নিয়েছে। এর কৃতিত্ব পুরোপুরি ওদের দিতেই হবে। কেননা বৃহস্পতিবার ইডেনে যে পিচে খেলা হয়েছে সেখানে কোনও টার্নিং ছিল না, বল স্লো ছিল। ফলে সানরাইজার্সের পিঞ্চ হিটার ব্যাটাররা অসুবিধায় পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। সেটা থেকেই পুরোপুরি ফায়দা তুলে নিয়েছেন রাহানেরা বোলাররা।
অপর দিকে নাইট ব্যাটারদের কথা যদি বলতেই হয়, তাহলে আমি বলব বিশেষ করে অঙ্কৃশের কথা। আমি আগেও বলেছিলাম এই ছেলেটা ব্যাটার হিসাবে নাইটদের হয়ে যেভাবে ম্যাচের পর ম্যাচ ভাল খেলছেন, তাতে ওর প্রশংসা করতেই হবে। এই ম্যাচেও অঙ্কৃশ প্রমাণ করে দিলেন ব্যাটার হিসাবে ও কতটা দক্ষ। দলের বিপদের সময় রাহানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তুলতে লাগলেন।
পাশাপাশি রান পেলেন রিঙ্কু ও ভেঙ্কটেশ। এটা অত্যন্ত ভাল দিক। কেননা, ভেঙ্কটেশ এবং রিঙ্কু আগের ম্যাচগুলিতে সেইভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। কিন্তু এই ম্যাচে সেটা ওরা দুজনেই প্রমাণ করে দিয়েছে। রাহানের প্রশংসাও করতে হবে। যেভাবে কঠিন সময়ে ব্যাট হাতে মূল্যবান ৩৮ রান করল। এর পাশাপাশি আমি হতাশ হলার শামির বোলিং পারফরম্যান্স দেখেও। আশা করেছিলাম শামি হয়ত এই পিচে আরও উইকেট পাবেন। কিন্তু না শামি তা করতে পারেলন না। আশা করব আগামী ম্যাচে আবার আমরা পুরনো শামিকেই দেখতে পাব।