সম্পাদকীয়

ইতিহাসের মুর্শিদাবাদের নামের ইতিহাস

History of the name Murshidabad in history

Truth Of Bengal: নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস: তখন ছিলাম গ্রামের স্কুলের তৃতীয় পড়ুয়া। মাস্টারমশাই বলেছিলেন, নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ-র নাম অনুসারে আমাদের জেলার নাম হয়েছে মুর্শিদাবাদ। নবাব আমলে মুর্শিদাবাদ শহর ছিল বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার রাজধানী।

আজকের একুশ শতকের আধুনিক সভ্যতার যুগে ইতিহাস গবেষকরা সব কথার সত্যতা যাচাই করে বলেছেন, মুর্শিদাবাদ বলতে দেশের পরাধীনতা, বিশ্বাসঘাতকতা, গুপ্তহত্যা ও নবাবদের কীর্তিকলাপের নিদর্শন হাজার দুয়ারি এমনটি নয়। জেলার পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রহস্যে ঘেরা বিচিত্র ইতিহাস।

আমাদের জেলার নাম মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদ নাম কী করে হল? জানার আগে জানতে হবে তার আগে জায়গাটির নাম কী ছিল। অনেকের জানা, অনেকের হয়তো অজানা। ঐতিহাসিকদের মতে, ষোড়শ শতকে মোঘল সম্রাট আকবরের বাংলা জয়ের পর রাজা টোডরমলের নেতৃত্বে ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে রাজস্ব সংগ্রহের পদ্ধতি সরলিকরণে সুবা বাংলাকে ১৯টি ভাগে ভাগ করা হয়।

এই ১৯টি সরকারকে আবার ৬৮২টি মহল্লা বা পরগনায় বিভক্ত করা হয়। রাঢ় বা রাঢ়বঙ্গ ও গৌড় তার অন্যতম। বহুকাল আগে থেকে মুর্শিদাবাদে গঙ্গা, পদ্মা ও ভাগীরথী দুই নামে ভাগ হয়ে ভাগীরথী মুর্শিদাবাদের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাঢ়বঙ্গ ও গৌড় দুই সরকারের অংশ ছিল। খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতকের প্রথম থেকেই যথার্থ মুর্শিদাবাদের সূচনা হয়। কারণ অষ্টাদশ শতাব্দীতে সুবা বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন নবাবের শাসন।

সেই সময় সুবা শাসকদের সুবেদার বা নাজিম বলা হতো। এই নাজিম শব্দ থেকেই এসেছে নবাব কথাটি। পরবর্তী সময়ে মোঘল সম্রাট আকবর নবাবদের স্বাধীন ভাবে সুবার শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষমতা দিয়েছিলেন। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম বাংলায় স্বাধীন নবাব হন মুর্শিদকুলি খাঁ। নবাবের আসনে বসে মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার প্রভূত উন্নতি সাধন করেন। তখনকার সময়ের সমস্ত জমিদার ও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যথেষ্ট সমীহ করে চলতেন। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, এত উন্নয়নকামী জনদরদি নবাব মানুষটি আসলে কে?

মুর্শিদকুলি খাঁর জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও যথেষ্ট সংখ্যক ইতিহাস গবেষকদের অভিমত, তিনি ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে দাক্ষিণাত্যের মালভূমি এলাকার বুরহানপুরের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মেছিলেন। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম সূর্যনারায়ণ মিশ্র। মিশ্র পরিবার সংসারের অর্থনৈতিক দুর্দশায় মাত্র দশ বছর বয়সেই শায়েস্তা খাঁ-র দেওয়ান সফি ইস্ফাহানির কাছে ক্রীতদাসরূপে সূর্যনারায়ণকে বিক্রি করেন। সফি ইস্ফাহানি সুর্যনারায়ণকে নিজের দেশ পারস্যে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ধর্মান্তকরণ করে নাম রাখেন মহম্মদ হাদি হাজী।

হাদি হাজীর আচার আচরণ, কথাবার্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সততায় মুগ্ধ হয়ে ক্রীতদাস নয় পুত্রস্নেহে নিজের  ছেলেদের সঙ্গে লেখাপড়া শেখান। ইস্ফাহানির মৃত্যুর পর তাঁর ছেলেরা মহম্মদ হাদি হাজীকে নিজের দেশ ভারতবর্ষে পাঠিয়ে দেন। স্বদেশে ফিরে এসে মহম্মদ হাদি হাজী ১৬৯৬ খ্রিস্টাব্দে মোঘল প্রশাসনের অধীনে দাক্ষিণাত্যের রেয়ার অঞ্চল, তখনকার বিদর্ভ অধুনা নাগাল্যান্ডের কাছে প্যারার প্রদেশে দেওয়ানের অধীনে দেওয়ানি বা রাজস্ব বিভাগে চাকরি করেন।

তার তৎপরতা ও বিচক্ষণ পদক্ষেপের পরিচয় পেয়ে মুগ্ধ হয়ে ১৬৯৮ খ্রিস্টাব্দে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের হায় দরাদরাবাদে দেওয়ান পদে নিয়োগ করে কর্তলাব খাঁ উপাধি প্রদান করেন। পরবর্তীসময়ে বাংলার রাজস্ব ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতির উদ্দেশ্যে কর্তলাব খাঁকে বাংলার দেওয়ান পদে নিয়োগ করে তখনকার ঢাকার জাহাঙ্গীরনগরে পাঠান। সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নাতি আজিমুসশান তখন বাংলার নাজিম ছিলেন।

প্রথম থেকেই কর্তব্যপরায়ণ সৎ-মানুষ কর্তবলাবের সঙ্গে আজিমুসশানের বনিবনা হটো না। বিবাদ সীমা অতিক্রম করলে ঔরঙ্গজেব তড়িঘড়ি করে বাংলার রাজস্ব বিভাগ ঢাকা থেকে সরিয়ে ভাগীরথীর তীরবর্তী স্থান মকসুদাবাদে স্থানান্তর করেন ও নাতিকে পাটনায় পাঠান। কর্তলাব খাঁ স্বাধীন সত্ত্বায় বাংলার রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ রাতারাতি বাড়ান। কৃতিত্বের পুরস্কার স্বরূপ সম্রাট ঔরঙ্গজেব ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে মুর্শিদকুলি খাঁ উপাধিতে ভূষিত করেন। কর্মদক্ষতা ও সৎ-মানসিকতায় মুর্শিদকুলি খাঁ অল্প দিনেই সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নেন।

প্রজাদের মধ্যে প্রভাব ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধিতে সম্রাট ঔরঙ্গজেব যথেষ্ট সন্তুষ্ট হন। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব তাঁকে মকসুদাবাদ নাম পরিবর্তন করে মুর্শিদাবাদ করার অনুমতি দেন। তখনই সুবা বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে সরিয়ে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন। মকসুদাবাদ হয়ে যায় মুর্শিদাবাদ।

তবুও মনে খটকা লাগে মকসুদাবাদের আগে জায়গাটির অন্য কোনও নাম ছিল কী? সেই কথায় পরে আসব। দেশের মুদ্রা ঘাটতি কমাতে ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকে মুর্শিদখুলি খাঁ একটি টাঁকশাল স্থাপন করেন। ১৭০৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঘাটতি কমিয়ে দেড় কোটি টাকা অতিরিক্ত সঞ্চয় করেন। দিল্লিতে তখন রাজস্ব পাঠাতেন এক কোটি তিন লক্ষ টাকা।

১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু হয়। সিংহাসনের দখল নেন পুত্র বাহাদুর শাহ। সুযোগ সন্ধানী আজিমুসশান পুরানো শত্রুতার বদলা নিতে ষড়যন্ত্র করে মুর্শিদকুলি খাঁকে উড়িষ্যা, দাক্ষিণাত্যে বদলি করে দেন। কিন্তু ১৭১২ খ্রিস্টাব্দে বাহাদুর শাহের মৃত্যুর পর মোঘল দরবারে পালাবদল ঘটতে থাকে। ১৭১৩ খ্রিস্টাব্দে ফারুক শিয়ার মোঘল সিংহাসনে বসেন। তখন বাংলার নাজিম নিযুক্ত হয়ে আসেন মীর জুমলা।

মীর জুমলার নায়েব নিযুক্ত হয়ে মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলায় ফিরে আসেন। কিন্তু মীর্জা মহম্মদের এবাদতনামা গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, মুর্শিদকুলি খাঁ ১৭১৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলার নবাব হন। ১৭১৩ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খাঁকে বাংলার দেওয়ান এবং নায়েব-সুবেদার পদে বসান। ১৭১৪ খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যার সুবেদার নিয়োগ করে জাফর খাঁ উপাধি দেন। ১৭১৬ খ্রিস্তাব্দে তাঁকে নাজিম পদে উন্নীত করেন।

১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খাঁকে বাংলায় পাঠিয়ে সুবেদার পদে বসানো হয়। সেই সময় বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়। বাংলার মসনদে সর্বপ্রথম স্বাধীন নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ। সাত হাজারি মনসাব তাঁকে প্রদান করা হয়। নবাবি তখতে বসেও তিনি ভূমি রাজস্ব বিপ্লব চালিয়ে যান। মুর্শিদাবাদকে তাঁর মনের মতো করে ঢেলে সাজাতে থাকেন। ভূমি রাজস্ব আদায় ও যথাযথ পর্যালোচনার কাজ চালাতে বিভিন্ন কার্যালয় স্থাপন করেন।

দোঘড়িয়া মতান্তরে ইমামবাড়ার পিছনে চণ্ডীপুর অঞ্চলের কুলেডিয়া অঞ্চলে একটি প্রাসাদ এবং একটি দেওয়ানখানা নির্মাণ করেন। আজ আর তার অস্তিত্ব নেই। বিদেশি পর্যটক ও বণিকদের জন্য তিনি একটি সরাইখানা ও একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৭২০ খ্রিস্টাব্দে তিনি এখানে একটি টাঁকশালও প্রতিষ্ঠা করেন। গবেষকদের মতে, টাঁকশালটি ছিল কাশিমবাজার অঞ্চলে।

১৭২২ খ্রিস্টাব্দে টোডরমল ও শাহ সুজার ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্তের পদ্ধতি সংস্কার করে দেশে নতুন আইন প্রবর্তন করেন। তাঁর এই নতুন রাজস্ব ব্যবস্থা ইতিহাসে মাল যামিনী প্রথা বলে লিপিবদ্ধ আছে। তখনকার মুসলমান শাসকরা ইচ্ছামতো একাধিক বিবাহ ও মহলে রক্ষিতা রাখতেন। কিন্তু মুর্শিদকুলি খাঁ ব্যতিক্রমী চরিত্রের মানুষ। তাঁর একমাত্র বেগম ছিলেন নাসিরা বেগম। কোনও রক্ষিতা তাঁর ছিল না।

আজিমাতুন্নেসা বেগম ও আজিমুন্নেসা বেগম নামে তাঁর দুই কন্যা। আজিমুন্নেসা বেগম কলিজা বেগম নামে পরিচিত ছিলেন। নবাব আজিমুন্নেসার সঙ্গে সুজাউদ্দিনের বিবাহ দেন। একমাত্র পুত্র ইয়াহিয়া খাঁর অকাল মৃত্যুতে তিনি ভেঙে পড়েন। নবাব তাঁর সাধের বাংলায় বিরাট বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে তোলেন। তাঁর আমলে সুদূর আরব, পারস্য, আর্মেনিয়ান ও অন্যান্য দেশর বণিকরা আসতেন বাংলায় ব্যাবসা বাণিজ্য করতে।

বাংলার সুবিখ্যাত রেশম সুতো বিদেশি বণিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রেশম সুতো ও অন্যান্য সম্পদের বিনিময়ে তাঁরা মূল্যবান পাথর, সোনা ও রুপো আমদানি করতেন। বৈদেশিক মুদ্রায় রাজকোষ ভরে উঠত। বাংলার যথেষ্ট অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে মুদ্রাব্যবসায়, পোদ্দার, মহাজন ও আরও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের আনাগোনার ফলে। জগৎ শেঠ নামে আরও এক বিত্তবান, প্রভাবশালী মহাজন তখন বাংলায় আসেন। নবাব নিজেও একজন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।

বহু বিষয়ে তাঁর অগাধ জ্ঞান ও পাণ্ডিত্য  তিনি তাঁর জ্ঞানের আলোকধারা সারা বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসী। হুগলিতে ফার্সি ভাষা শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র গড়ে তোলেন। ব্রাহ্মণ্য শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র গড়েন নদিয়ায়। প্রজাকল্যাণ, শিক্ষা দরদি নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সুদূর পারস্য হতে বহু জ্ঞানী শিক্ষক ও চিকিৎসককে বাংলায় আনেন। দেশের পাঠশালাগুলিতে বাংলা ভাষা চর্চা হতো।

বিজ্ঞ অসাম্প্রদায়িক নিরপেক্ষ নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন পরলোকগমন করেন। তাঁর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁরই নির্মিত কাটরা মসজিদে প্রবেশ পথের সিঁড়ির মুখে তাঁর দেহ সমাধিস্থ করা হয়। তিনি চেয়েছিলেন, জীবনে চলার পথে যদি কোনও ভুল বা অন্যায় করে থাকি, দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষের পবিত্র চরণধুলোর স্পর্শে সঞ্চিত পাপরাশি ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে ধন্য হবে আমার মানব জীবন। পরবর্তী নবাব হন মহম্মদ সুজাউদ্দিন।

এবার আসি আগের কথায়। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও গবেষক ডক্টর শুভময় মুখার্জি ও অন্যান্য বিশিষ্ট গবেষকদের লেখা থেকে জানা যায়, বর্তমানে ভাগীরথী নদীর জলধারা মুর্শিদাবাদ জেলার মাঝ বরাবর বয়ে যাচ্ছে। ভাগীরথীর পূর্বপাড় বাগড়ি ও পশ্চিমপাড়কে বলা হয় রাঢ়বঙ্গ। খ্রিস্টীয় ১৫-১৬ শতকে গঙ্গা নদী ভাগীরথীর মধ্য দিয়ে বয়ে চলায় ভাগীরথীর জলস্রোত ক্ষীণধারা হয়ে পূর্ব ও পশ্চিমপাড় কাছাকাছি চলে আসায় এই জেলার সৃষ্টি হয়।

ভূবিজ্ঞানীদের ধারণা, জেলার জলঙ্গি অঞ্চলের প্রাচীনত্ব ক্রিটেলাস যুগে। অর্থাৎ তেরো কোটি বছর আগের। আন্দাজ করা হয়, ভূমির উত্থান তারও দেড় কোটি বছর আগে। প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরেশচন্দ্র দাসগুপ্ত জানান, এখানকার প্রত্নসামগ্রী তাম্র যুগের প্রমাণ করে। আনুমানিক ২০০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে পঞ্চম খ্রিস্ট পূর্বাব্দ অর্থাৎ আর্য সভ্যতার আগে এখানে এক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। যা গ্রিক ও ক্রিট সভ্যতার সমসাময়িক। নিষাদ, অস্ট্রিচ, কোল ও মুণ্ডা ছিল আদিম অধিবাসী।

মুর্শিদাবাদের আগের নাম ছিল মকসুসবাদ, মকসুমবাদ ও মকসুদাবাদ। সাধারণ মানুষ বলত মকসুদাবাদ। আইনি আকবরিতে লেখা রয়েছে, মকসুম খাঁ নামে একজন ওমরা দিল্লির আকবর বাদশাহের অধীনে মহলের ফৌজদার ছিলেন। তিনি পর্তুগিজদের বাংলাছাড়া করতে সৈন্য নামান। ১৬ শতকের শেষ দশক সমূহে তিনি বাংলা, বিহারের দায়িত্ব সামলান। তাঁরই নাম অনুসারে জায়গাটির নামকরণ হয় মকসুসাবাদ ও মকসুদাবাদ।

মকসুম খাঁর ভাই সৈয়দ খাঁ দিল্লির বাদশা আকবরের অধীনে বাংলার সুবেদার হন। ১৫৮৭- ১৫৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছিল তাঁর কার্যকাল। মকসুদাবাদের আগে সৈয়দ খাঁ-র নাম অনুসারে জায়গাটির নাম সৈদাবাদ। সাইরুল মুতাক্রিনে উল্লেখ আছে, তারও আগে জায়গাটির নাম ছিল কুলাডিয়া।

Related Articles