সাইকেলে ভর করে জীবন এগিয়ে চলেছে মাজদিয়ার প্রবীণ মহিলার
An elderly woman from Mazdia is moving forward with her life on a bicycle.

Truth Of Bengal: নারী স্বয়ংসিদ্ধা,তাঁদের শ্রম দিয়েই নারীরা সভ্যতার সৌধ তৈরি করেন।তাঁদের হাড়ভাঙা খাটুনিতেই সংসার সদা সুখের হয়।হার না মানা মানসিকতা নিয়েই জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছেন অনেকেই। প্রথম মহিলা পাইলট দুর্বা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে সরোজিনী নাইডু,সুধা মূর্তি থেকে সাইনা নেহাল বা সানিয়া মির্জারা প্রমাণ করেছেন,পুরুষকে টেক্কা দিয়ে তাঁরা সাফল্যের শিখর ছুঁতে পারেন।আর নদিয়ার মাজদিয়ার পূর্ণিমা ভৌমিক সবকিছু ছেড়ে সাইকেলকে সঙ্গী করে সন্তানদের মানুষ করার কঠিন লড়াই লড়ছেন। এখন সাইকেলের দুই চাকায় আটকে রয়েছে স্বামীহারা মহিলার ভাগ্য।
সংসার চালাতে স্বামীর ব্যবসাকেই আঁকড়ে ধরেছেন তিনি।পেটের টানে নবদ্বীপ থানা এলাকার মুকুন্দপুর থেকে সাইকেলে সব্জি বোঝাই করে নিয়ে আসেন।সেই সব্জি মাজদিয়ার বাজারে বিক্রি করেন।মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন,ছেলে অসুস্থ।সংসারী ছেলের সংসারের হালও ধরতে হয়েছে ষাটোর্ধ্ব পূর্ণিমা দেবীকে।চামড়ায় টান ধরেছে,শরীরে থাবা গেড়েছে বয়স।স্বামী মারা যাওয়ার পর লড়াইটা কঠিন হলেও সুদিন ফেরানোর আশা ছাড়েননি তিনি।সংগ্রামের ময়দানে থেকেই সফল নারীর শিরোপা আদায় করে নিচ্ছেন। রোদ বৃষ্টি-ঝড়কে উপেক্ষা করে ৩৬৫দিনই জীবনরথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পায়ে হেঁটে সব করেন শিমুলগাছির কাছের বামুনপুরার এই বৃদ্ধা।
সরকারি সাহায্য হিসেবে বিধবা ভাতা পান, কিন্তু তাতে তাঁর সংসার চলে না। প্রতিদিন যে সব সবজি নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে বসেন তাতেও লাভের মুখ দেখেন না বলেই দাবি পূর্ণিমা দেবীর। তবুও এই বয়সে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে সবজি বিক্রি করতে আসেন এই মহিলা।নদিয়ার মানুষ বলছেন, পূর্ণিমা দেবীর ভাগ্যের পরিহাস এভাবেই চলবে নাকি পরিবর্তন হবে ভাগ্যের চাকা,সেটা সময়ই বলবে। দুচাকায় ভর করে জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া এই মানুষটি যেভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করছেন তা সত্যিই যে অনবদ্য তা বলাই যায়।