
Truth Of Bengal: এ যেন আজব কাণ্ড। ভূতুড়ে ভোটার ঘিরে শোরগোলের মাঝেই সামনে এল প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ। ২২টি সংসদের প্রতি বুথে ১২ থেকে ১৫ টি নাম বাদ পড়েছে ভোটার তালিকা থেকে। এমনকি মৃত ভোটারদের নামও ভোটার তালিকায় রয়েছে। চম্পাহাটির বাসিন্দাদের প্রশ্ন, স্থায়ীভাবে দীর্ঘদিন বাস করার পরেও কেন এই অনিশ্চয়তা?
বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হয়েছে ২০২৫-এর সংশোধিত ভোটার তালিকা। সেই সংশোধিত ভোটার তালিকায় বড়সড় গরমিল প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড়। চম্পাহাটির ভোটার তালিকায় দেখা যায় বহু উত্তরবঙ্গের ভোটারদের নাম রয়ে গেছে। কারুর বাড়ি মালদা, কারুর শিলিগুড়িতে। আবার কেউ আবার মুর্শিদাবাদে থাকলেও চম্পাহাটির ভোটার তালিকায় অজান্তে চলে আসেন।
তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামে।তৃণমূল নেতৃত্বের তোপ, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি ষড়যন্ত্র করে বাংলার ভোটার তালিকায় বহিরাগতদের নাম ঢোকাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন,বহিরাগত ভোটারদের নাম সংযোজন করে বাংলার ভোটচিত্র বদলে দেওয়ার রাজনীতি করা হচ্ছে। সেই অভিযোগের পর আবারও বড়সড় ঘটনা সামনে আসছে।
ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিলে ভোট দিতে চান। কিন্তু যে মাটির মায়ায়,দেশের জন্য স্বাধীনতা চেয়ে গলা চড়িয়েছিলেন এইসব প্রবীণরা, তাঁরাই এই শেষবয়সে উদড় পিন্ডি বুদোড় ঘাড়ে দেখে হতবাক। হতাশায় কেউ গণতন্ত্রের সারিতে দাঁড়ানোর জন্য নাম তোলানোর চেষ্টা করছেন,কেউ আবার হতাশায় হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন। প্রশ্ন উঠছে কেন, এই গণতন্ত্রের অধিকার নিয়ে গরমিল হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা অবশ্য, জনতার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আগ্রহী। ভুতুড়ে ভোটারের পরে আজব কান্ড আবার বারুইপুরের চম্পাহাটিতে। স্থায়ী ও দীর্ঘদিনের বাসিন্দাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে ভ্যানিশ হতেই সাধারণ লোকও অথৈ জলে পড়েছে।