মাছ উৎপাদনে চলতি বছরে শীর্ষে পৌঁছে যাবে রাজ্য: মৎস্যমন্ত্রী
State will reach peak in fish production this year: Fisheries Minister

Truth Of Bengal: মাছ উৎপাদনে রাজ্য পৌঁছে যেতে চায় এক নম্বরে। চলতি বছরেই বাংলা সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরি। এই মুহূর্তে মাছ উৎপাদনে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলা। লক্ষ্য এক নম্বর স্থান অর্জন করা। রাজ্যের মাছে-ভাতে বাঙালির সিংহভাগ মাছের ওপর নির্ভরশীল। রাজ্যের চাহিদার যা ঘাটতি থাকে তা অন্য রাজ্য বিশেষত অন্ধপ্রদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
অন্য রাজ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বাংলা মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায়। বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে সোমবার একথা জানান মত্স্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরি। রাজ্যেকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য মত্স্যদফতর নানা পরিকল্পনা রূপায়ণ করছে বলেও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। সোমবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক মধুসূদন বাগের প্রশ্নের উত্তরে মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরি সোমবার একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন সামগ্রিক ভাবে মাছের উৎপাদনের নিরিখে রাজ্য বর্তমানে গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
রাজ্যের চাহিদার থেকেও উৎপাদন বেশি। সরকারি ভাবে বাইরে থেকে কোনও মাছ আমদানি করতে হয় না। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের নিরিখে মৎস্য বীজ উৎপাদনে রাজ্য গোটা দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বলে মৎস্যমন্ত্রী জানান। এদিকে মানুষকে সুলভে দোরগোড়ায় মাছ পৌঁছে দিতে সুফল বাংলা স্টলে মাছ বিক্রির কাজও শুরু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। রাজ্যের ৩৫টি জায়গায় সুফল বাংলা মৎস্য স্টল খোলা হচ্ছে। আগ্রহী স্বনির্ভর গোষ্ঠী, মৎস্য সমবায়গুলি ওইসব বিপণি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এরকম ১০০টি বিক্রয়কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মৎস্যমন্ত্রী সভায় জানিয়েছেন।
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৩৫টি সুফল বাংলা মৎস্য বিপণী তৈরি করতে বরাদ্দ হয়েছে ২.৫৩ কোটি টাকা। যেখানে সুফল বাংলার স্টলগুলি রয়েছে, তারই গায়ে খোলা হচ্ছে মাছের স্টলগুলি। তবে অন্য জায়গাতেও কিছু ক্ষেত্রে এই স্টল থাকবে। মৎস্য দফতরের আওতায় নিজস্ব যে সব জলাশয়ে মাছ চাষ হয়, সেখান থেকেই টাটকা মাছ আসবে স্টলগুলিতে। ৩৫টি স্টলের মধ্যে দক্ষিণ কলকাতায় পাঁচটি, উত্তর কলকাতায় তিনটি, সল্টলেকে একটি ও নিউটাউনে তিনটি স্টল খোলা হবে।