‘ঘরে বঁটি-কাটারি নেই? তাই দিয়ে মারো’, বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের
'There is no knife and fork in the house? So beat me with it', controversial comment of Trinamool MLA

Truth Of Bengal: ব্যান্ডেল স্টেশনের সম্প্রসারণ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। তাঁদের উচ্ছেদ নিয়ে সরব হয়েছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তাঁর এক বক্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, যেখানে তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, “মারছ না কেন? আপকে ঘর ম্যায় বঁটি নেহি হ্যয়, কাটারি নেহি হ্যয়? ওসব লেকে মারো উসকো…”
‘ঘরে বঁটি-কাটারি নেই? তাই দিয়ে মারো’, বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের pic.twitter.com/nuv70IcMY0
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) February 17, 2025
অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় ব্যান্ডেল স্টেশন উন্নত করা হচ্ছে। ফলে স্টেশন সম্প্রসারণের জন্য পরিত্যক্ত জমিতে কাজ শুরু করতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই জমিতে বছরের পর বছর ধরে বহু মানুষ বসবাস করছেন, যাঁরা মূলত দিনমজুর ও পরিযায়ী শ্রমিক। রেল কর্মীরা কোয়ার্টার ছেড়ে চলে গেলেও, এই মানুষগুলো সেখানেই রয়ে গেছেন।
রেল সম্প্রসারণের স্বার্থে এই বাসিন্দাদের উচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছে রেল। কিন্তু পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ মানতে নারাজ বিধায়ক। তিনি স্থানীয়দের পাশে দাঁড়িয়ে রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিধায়কের ক্ষোভ ও বিতর্কিত মন্তব্য
সোমবার, উচ্ছেদ কাজ দেখতে গিয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদার ক্ষুব্ধ হয়ে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, “ঘরে বঁটি, কাটারি আছে? তাহলে মারছেন না কেন? মারুন ওদের।” তাঁর এই বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “বাড়ির কুকুর তাড়ানো যায় না, আর এরা তো ৪০-৫০ বছর ধরে এখানে আছে। এইভাবে উচ্ছেদ করা যাবে না। রেলকে পুনর্বাসন দিতে হবে।”
বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বিধায়কের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “উচ্ছেদ হলে রাজ্য সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক। তা না করে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বলছেন বিধায়ক।”
এদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ, উচ্ছেদের টেন্ডার পেয়েছেন এক তৃণমূল কর্মীই। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক জানান, “তৃণমূলটা করে খাওয়ার জায়গা নয়। আমি যদি খবর পাই, তাহলে তৃণমূলের কোনও কাজে তাকে রাখব না।”
ব্যান্ডেল স্টেশন সম্প্রসারণে রেলের প্রকল্প চালু থাকলেও, পুনর্বাসন ও উচ্ছেদ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। বিধায়কের বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।