চা বাগানের শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষয় সুনিশ্চিত করতে কল্পতরু রাজ্য সরকার
State government to ensure health and safety of tea plantation workers

Truth Of Bengal : প্রান্তিক স্তরে পরিষেবা পৌঁছে দিতে চা-বলয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বানারহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও গ্রামীন হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয় ৩০কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।চা বাগানের শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক স্তরে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হচ্ছে।এতে খুশি চা শ্রমিক থেকে উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষ।
২০১১ সালে নতুন সরকার গঠনের পর, রাজ্য সরকার চা-শিল্পের সমস্যাগুলি দূরীকরণে সচেষ্ট হন। ২০১১ সালে যখন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তখন চা-শ্রমিকদের মজুরি ছিল মাত্র ৬৭ টাকা যা বর্তমানে ২৩২ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকদের বিনামূল্যে চাল, গম এবং রেশনের সামগ্রী দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
চা- শ্রমিকরা যে শুধু ন্যূনতম মজুরি পান না তা নয়, অস্বাস্থ্যকর ঘিঞ্জি পরিবেশে বাস করার জন্য নানারকম শারীরিক সমস্যায় ভোগেন ছোট থেকেই। তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘চা সুন্দরী প্রকল্প’ সঞ্জীবনী ঔষধের মতো কাজ করা শুরু করেছে। এই প্রকল্পে চা-শ্রমিকের জন্যে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।
একইসঙ্গে যাতে চা শ্রমিকরা যাতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয় সেজন্য চা-বলয়ে উন্নতমানের স্বাস্থ্যকেন্দ্রও গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের কর্তাদের। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর বানারহাট স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে গ্রামীণ হাসপাতালের উন্নিতকরনের জন্য ৩০ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। এই খবরে খুশির হাওয়া বানারহাট ব্লকজুড়ে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বানারহাটে সরকারি সভা করতে এসে বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান।আর বুধবার স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে সেই হাসপাতালের অনুমোদন মিলায় খুশি বানারহাটের ব্লকের বাসিন্দারা।
ডুয়ার্সের ২২টি চা বাগান, ছয়টি বনবস্তি এবং কৃষি এলাকার প্রায় দুই লক্ষের বেশি মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এই বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র । সেইসঙ্গে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা এখানে আসেন চিকিৎসা করাতে। প্রতিদিন প্রায় আড়াই থেকে তিনশো রোগী আসেন। অথচ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা মাত্র দশটি। আর প্রতিদিন বিরাট অংশের মানুষকে পরিষেবা দিতে কালঘাম ছুটে যায় হাতে গোনা স্বাস্থ্যকর্মীদের।
জটিল কোনো সমস্যা হলেই স্থানান্তরিত করা হয় ৩৫ কিলোমিটার দূরে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে, নতুবা ১৯ কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতাল। এখান থেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের দুরত্ব ৬৫ কিলোমিটার। স্বাভাবিক কারণে রোগীকে নিয়ে যেতে অনেক সময় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। আর তাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নীত হওয়ার পথে এই খবরে খুশি বানারহাটবাসী।
স্বাস্থ্যের পরিষেবা সমাজের প্রতিটা কোণায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আন্তরিক প্রশাসন।মুখ্যমন্ত্রী কথা রাখায় দলমত নির্বিশেষে মানুষ ধূপগুড়ি ব্লক গঠনের পর এই কাজের পরিধি বাড়ায় স্বস্তি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।