আলু রফতানি করা যাবে না! সতর্ক করলেন মমতা, বিধানসভায় আর কি বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর?
Potatoes cannot be exported, Chief Minister's stern message in the Assembly

Truth Of Bengal: রাজ্যে আলুর দাম কমাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলার সরকার।আর আলু রফতানি করা যাবে না বলে এবার বিধানসভায় কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আলু রফতানি নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছিলেন,
- রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে আলু রফতানি করা যাবে না
- চাহিদার অতিরিক্ত যা উৎপাদন হবে তা কিনে নেবে রাজ্য
- আগে বাংলার মানুষ আলু খাবে,তারপর বাইরে পাঠানো হবে
- বাজারে আলুর দাম যাতে না বাড়ে তারজন্য চলছে নজরদারি
- আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
সোমবার বিধানসভাতেও উঠে আসে আলু-পেঁয়াজের রফতানির প্রসঙ্গ।মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন,আগে বাংলার মানুষ আলু খাবে,তারপর বাইরে পাঠানো যাবে।মুখ্যমন্ত্রী মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করেন।
এদিকে, খাদ্য দফতরের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে প্রশাসনিক প্রধান জানান, ‘‘আমরা কেন্দ্রের থেকে চালের ভর্তুকি বাবদ টাকা পাই। ১৪ হাজার কোটি টাকা পাই।আমাদেরকেও ৪০% টাকা দিতে হয়। আট কোটির মধ্যে অনেকেই আছেন তারা চাল পান না কেন্দ্রের থেকে। নানা কারণ আছে না পাওয়ার। সেই কারণেই রাজ্যের খাদ্যসাথী প্রকল্প চলছে। আগে আমাদের কাজ মানুষকে খাবার দেওয়া। যারা বহন করে, তাদের বিষয়ে টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রীসভায় আসেনি। বহন যে করবে সময় সময় টাকা তাদের বাড়ানো হয়। এই সব অতি সংবেদনশীল বিষয়। আপনি ভেবে দেখুন। ’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একইসঙ্গে স্পষ্ট করেন, সবটা রাজ্যের হাতে নেই, চাষীদের দোষ নয়।ব্যবসায়িক মুনাফার কথাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আলু নিয়ে দেখলেন তো, কিছু লোক ব্যবসার জন্য কি কাজ করে দেখছেন তো ? আগে ঘর সামলাব, না কি ব্যবসা দেখব কারও। আগে বাংলা পাবে, আগে ঘর সামলাব। বাংলায় মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে কম।”