
Truth of Bengal: বন্ধে ভারতের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে এবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং ভারতীয় রেলের বিভিন্ন জোনে আলাদা করে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণের কেন্দ্র। তৈরি করা হয় বিশেষ সফটওয়্যারও। সাফাইয়ের কাজ সহ মেরামতি, সেই সঙ্গে মেরামতি শেষ হওয়ার সময়সীমা। সবটাই এবার ঠিক করবে যন্ত্র। বন্দেবারতের মতো সেমি হাইস্পিড ট্রেনের রক্ষাণাবেক্ষণের ভার এবার দেওয়া হল এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে।
একইসঙ্গে এই দায়িত্বভার রয়েছে মেশিন লার্নিং-এর উপরও। তারজন্যই এবার ভারতীয় জোনে পৃথকভাবে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র। এই সমস্তকিছুর জন্যই তৈরি করা হয় স্পেশাল সফটওয়্যারও। যার নাম দেওয়া হয় রিমোট মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অফ লোকোমোটিভস অ্যান্ড ট্রেনস বা রেমলট। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন ঝিল সাইডিং কোচিং ডিপোতে এই সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি বসানো হয়।
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার বেগে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন ছুটতে সক্ষম। তবে ট্র্যাকের পরিকাঠামোর কথা মাথায় রেখে এই ট্রেনকে সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে চালানো হয়। এই গতিও যথেষ্টই বেশি বলে রক্ষণাবেক্ষণের সময়ে রেল কর্তারা ঝুঁকি নিতে নারাজ। যার জেরে মানুষের উপর নয়, যন্ত্রের উপরই ভরসা করা হচ্ছে। ভারতীয় রেলের রোলিং স্টক বিভাগের প্রযুক্তিবিদদের মতে, রেমলট সফটওয়্যার স্ট্যাটিক ইনভার্টার, লুজ কানেকশন, লো টেনশন কন্ট্রোল, স্পিড সেন্সরে সমস্যা সহ মোট ২২টি যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক ত্রুটিকে নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম।