মিরাজের কাঁধে ভর দিয়ে ইনিংসে হার বাঁচাল বাংলাদেশ
Bangladesh saved the loss in the innings by relying on Miraj's shoulders

Truth of Bengal: মিরপুরে তৃতীয় দিন শুরু করতে নেমে যেভাবে ব্যাটিং ধসে পড়েছিল বাংলাদেশ তাতে ইনিংস ব্যবধানের হার চোখ রাঙাচ্ছিল। সেখান থেকে রেকর্ড জুটি গড়ে সেই শঙ্কা কাটিয়ে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ-জাকের আলি অনিক। দিনের শেষ ব্যাটার হিসাবে জাকের আউট হলেও বাংলাদেশের হয়ে লড়ে যাচ্ছেন মিরাজ। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বুধবার ৮১ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ২৮৩ রান। ৮৭ রান করে কেরিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে আছেন মিরাজ। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৯ চার ও ১ ছক্কায়। অন্যদিকে তার সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন ১৬ রান করা নাঈম হাসান।
বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিন তাদের লক্ষ্যে থাকবে বাংলাদেশকে বড় লিড এনে দেওয়ার। যাতে প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য এক গল্প লিখতে পারে বাংলাদেশ।
বুধবার ৩ উইকেটে ১০১ রানে দিন শুরু করতে নেমে দ্রুতই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদা ৩২তম ওভার করতে এসে প্রথম ও তৃতীয় বলে তুলে নেন গতদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় (৪০) ও মুশফিকুর রহিমকে (৩৩)। দুই জনের কাছে এদিন বাংলাদেশ যা আশা করেছিল, মুহূর্তের মধ্যেই ধুলিসাৎ হয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরেই টেস্টে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করা লিটন দাসও (৭) দ্রুতই সতীর্থদের পথ অনুসরণ করেন। এতে করে মুহূর্তেই বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১১২ রান। অর্থাৎ, ৮ রানের ব্যবধানে ৩ ব্যাটারের ঘরে ফেরা। এ সময় উঁকি দেয় ইনিংস হারের শঙ্কা।
কেননা বাংলাদেশ তখনও ৯০ রানে পিছিয়ে। এমন কঠিন সমীকরণে ত্রাতা হন মিরাজ ও জাকের। দুই জনে সপ্তম উইকেট ১৩৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। ভেঙে দেন ২১ বছর আগে করা হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমরের রেকর্ড জুটি। ২০০৩ সালে দ্বিতীয় উইকেটে ১৩১ রানের জুটি গড়েছিলেন প্রাক্তন এই দুই ব্যাটার। তাঁদের হটিয়ে এখন যেকোনও জুটিতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ জুটির মালিক মিরাজ-জাকের।
টেস্ট অভিষেকে আট নম্বরে নেমে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসাবে ফিফটি করেছেন জাকের। মোসাদ্দেক হোসেনের পর এই কীর্তি গড়া উইকেটরক্ষক ব্যাটার অবশ্য নিজের ইনিংসটা দীর্ঘ করতে পারেননি। ৫৮ রানে কেশব মহারাজের আর্ম বলের ফাঁদে এলবিডব্লিউতে থেমেছে তাঁর ইনিংস। সঙ্গীকে হারালেও হতাশ হয়ে পড়েননি মিরাজ। নিজের সহজাত ব্যাটিংটা চালিয়ে যান তিনি। অষ্টম উইকেটে নাঈমের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দলের স্বপ্ন হয়ে আছেন তিনি।
মাঝে বৃষ্টিও বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে বেরসিক বৃষ্টি থেমে গিয়ে আবারও শুরু হলে খুব বেশি ওভার এদিন আর হয়নি। কারণ আলোকস্বল্পতা। বাজে আলোর কারণে দিনের খেলা শেষ করতে বাধ্য হন মাঠের আম্পায়ারদ্বয়।