রাজ্যের খবর

বন্ধ হওয়ার মুখে ছিল স্কুল, স্কুলের ‘প্রাণ’ ফেরালেন শিক্ষকরা

School Running 

The Truth of Bengal: কিছু করার ইচ্ছা থাকলে অনেক কিছুই করা যায়। যে কোনও জিনিস বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে কোনও বাহাদুরি নেই। বরং জিয়নকাঠি খুঁজে যদি বাঁচিয়ে রাখা যায় সেটা অনেক কৃতিত্বের। প্রায় বন্ধের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি জুনিয়র হাইস্কুলকে পুনরুজ্জীন দিলেন শিক্ষকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় প্রায় বন্ধের মুখে থাকা দেবীচক জুনিয়র হাইস্কুল পেল নতুন জীবন। ২০১০ সালে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে বেশ কিছু জুনিয়র হাই স্কুল তৈরির কথা ঘোষণা করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। যেখানে শিক্ষালাভ করতে পারবে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। সেই মতো ২০১৩ সালে পাথর প্রতিমা ব্লকের রামগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে দেবীচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঢিল ছোড়া দূরত্বে গড়ে ওঠে দেবীচক জুনিয়র হাইস্কুল।

প্রথমে হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দিয়ে স্কুল চালানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই শিক্ষকদের বয়স ৬৫ বছর হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা চলে যান। তারপর বিদ্যালয় শিক্ষকশূন্য হয়ে যায়। শিক্ষকের অভাবে ছাত্র-ছাত্রী ও স্কুল ছাড়তে থাকে। ঠিক তখনই ত্রাতার ভূমিকায় দেখা যায় প্রতিবেশী দেবীচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা বিনা পারিশ্রমিকে জুনিয়র হাইস্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এগিয়ে আসেন পাথরপ্রতিমা উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্যামল মল্লিক।

তিনি শিক্ষকদের কথার সম্মতি জানান। এখন প্রাথমিক শিক্ষকদের চেষ্টায় নতুন উদ্যমে চলছে স্কুলটি।স্কুলটি যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি যেতে থাকেন। অভিভাবকদের বুঝিয়ে স্কুলে নিয়ে আসতে থাকেন তাদের সন্তানদের। এখন পাশাপাশি দুটি স্কুল চলছে একসঙ্গে। স্কুলদুটি একযোগে চালাচ্ছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দেওয়া টাকায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ, শৌচাগার, ফুলের বাগান তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, দুটি স্কুলে ৬ জন ক্যাজুয়াল শিক্ষক-শিক্ষিকা দেওয়া হয়। যাদের পারিশ্রমিকের দায়িত্ব নেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষকরা। শিক্ষকদের এমন মানবিক উদ্যোগে খুশি এলাকার লোকজন।

Related Articles