রাজ্যের খবর

পাকা ধানে আবহাওয়া মই দিচ্ছে! ধান চাষ নিয়ে ঘুম ছুটছে কৃষকদের

The farming community is worried about the weather

The Truth of Bengal: সোনার ধান গোলায় তোলার জন্য কৃষকরা মহানন্দে চাষ করেন।শ্রম-আর কষ্টের   মাধ্যমে মেহনতের ফসল ঘরে তোলেন তাঁরা।অন্নদাতাদের অন্নেই সমাজের সব অংশের মানুষ পালিত হয়।  তাই বাংলার ৭০শতাংশ মানুষ এই কৃষিকাজ করেই সমাজের সদস্যদের পেট ভরান।অন্যান্য জেলার মতোই পশ্চিম মেদিনীপুরেও ধান চাষ হয় বেশি।শুধু জেলায় ৮৭হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়।

এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষকসমাজই আবহাওয়ার কারণে চিন্তায় পড়েছেন। কি করে ধান ঘরে উঠবে তাই নিয়ে ঘুম ছোটার জোগাড় ঘাটালের কৃষকদের। কারণ ধানের ফুল কুয়াশার কারণে ঝড়ে পড়ছে।ভোর রাত থেকেই   কুয়াশাছন্ন হয়ে পড়ছে মাঠ।মাঠে মাঠে ধান-ঝড়ে পড়ার আশঙ্কাওতাই বাড়ছে।পাকা ধানে আবহাওয়াই মই দিয়ে দিচ্ছে বলা যায়। তাতে ফলন মার খাওয়ার ব্যাপক আশঙ্কায় কৃষকরা।পশ্চিমবঙ্গে উৎপন্ন ধানের 78% হলো আমন ধান। রাজ্যের সব জেলাতে চাষ হয়।এই ধান উৎপাদনে পূর্ব বর্ধমান প্রথম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর দ্বিতীয়।

পূর্ব  বর্ধমান কে ‘ পশ্চিমবঙ্গের ধানের গোলা ‘ বলা হয়। বর্তমানে রাজ্য সরকার জলসেচের সুবিধা বাড়ানোর জন্য  মুর্শিদাবাদ , দুই 24 পরগনা , পূর্ব – পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ,হুগলি , নদিয়া ও বীরভূমে ধান চাষ বেড়েছে।এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের শস্যবীমা প্রকল্পই ভরসা।বাংলার সরকার যে বীমা প্রকল্প চালু করেছে তাতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।   সৈয়দ মীজানুর রহমানের রিপোর্ট।

Related Articles