
The Truth of Bengal: কথায় বলে ‘নদীর ধারে বাস দুঃখ বারো মাস’। এই প্রবাদ মাথায় নিয়ে আতঙ্ক সঙ্গী করে দিন কাটছে নামখানার বেলতলা এলাকার মানুষের। বর্ষাকালে কোটাল এলেই গ্রামবাসীর ঘুম ছুটে যায়। আতঙ্ক তাড়া করে, এই বুঝি নদী বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হল। সেই আশঙ্কার দোলাচলে ভুগছে নামখানা ব্লকের বেলতলা এলাকার গ্রামবাসীরা। দ্বাদশীর কোটালে ফুঁসছে নদী। গ্রাম ভেসে যেতে পারে এই আশঙ্কায় মহিলা-পুরুষরা সবাই নদীর বাঁধে। সতর্ক নজর রাখছে সবাই। সরু বাঁধের জরাজীর্ণ অবস্থা।
তাঁর ওপর পাড় ঘেঁষে জাহাজ চলাচল করে। সেই ঢেউতে আরও ভাঙছে নদীর পাড়। বর্ষার আগেই নদী বাঁধের কাজ শুরু হয়ে যায়। তারপরও ভাঙন আটকানো যায় না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গ্রামের মানুষ পাকাপাকি কোনও ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছে। বিষয়টি জানেন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস। গ্রামবাসীর দাবি প্রসঙ্গে তিনি জানান, শীঘ্রই নদী বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে। প্রশাসনের আশ্বাসে কিছুটা আশ্বস্ত গ্রামবাসী।
প্রতিবছর নানা বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীবাঁধ। আমফান, আয়লা, বুলবুল-এর মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় রেখে যায় ক্ষত। তার ওপর প্রতিবছর বর্ষার সময় নদী ভাঙন লেগেই থাকে। তাই বর্ষা এলেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় ভোগে এলাকার মানুষ। সুন্দরবনবাসীকে ভাঙনের আতঙ্ক থেকে মুক্তি দিতে সারা বছর কাজ করে চলে সেচ দফতর। তারপরও কোটালে ফুঁসতে থাকা নদীর জলে প্লাবনের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায়।