মাইক্রোআর্টে মণিষীদের সন্মান,অন্যরকম করার ভাবনা শিল্পীর
Respecting people in microart, thinking of doing something different

The Truth of Bengal: আপনি –আমি যেসব বস্তু ফেলে দিই। সেই ফেলে দেওয়া ট্যাবলেট-চাল-নুড়ি-পাথরের মতো বস্তু দিয়েই শিল্প সৃষ্টি করছেন নন্দকুমারের পঞ্চানন ভুঁইঞা। রবীন্দ্রনাথ,রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের মতো মনিষীও এই মাইক্রো আর্টে জায়গা পাচ্ছেন। পঞ্চাননের শিল্প প্রতিভার প্রশংসা করছেন প্রতিবেশীরাও।
শিল্পীরা সাধারণতঃ ক্যানভাসেই তাঁর সৃষ্টি ভাবনা ফুটিয়ে তোলেন।কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের পঞ্চানন ভুঁইঞা সেই পথে পা বাড়ায়নি।পড়ে পাওয়া ট্যাবলেটের খোল,চাল-নুড়িপাথরের মতো জিনিস দিয়েই শিল্পের চমক সৃষ্টি করছেন।২২বছরের যুবকের হাতে ফুটে হচ্ছে নানা মনিষীর মুখাবয়ব। তাঁর শিল্প প্রতিভা অল্পবয়সী পড়ুয়া থেকে সমঝদার মানুষ সবার মধ্যে আলাদা সাড়া ফেলেছে। তার শিল্পের কারুকাজে ফুটে উঠছে রবীন্দ্রনাথ,রামকৃষ্ণ,বিবেকানন্দের মতো মনিষীরা। ছোট জিনিস দিয়ে বড়লোক বা মহাজনদের সম্মান জানানোর এই ভাবনার তারিফও করেছেন অনেকে।
ছোট থেকেই ছবি আঁকার প্রতি তার বাড়তি ঝোঁক। চাল, নুড়ি, পাথর ও ট্যাবলেট দিয়ে অনায়াস দক্ষতায় শিল্পসৃষ্টির এই সহজাত ভাবনা সবার নজর কাড়ছে।ছোটর ওপর অন্যরকম কিছু করার তাগিদ কার্যতঃ এই সৃষ্টির সন্ধানীকে আলাদা তৃপ্তি দিচ্ছে। টাকার অভাবে উচ্চমাধ্যমিকের পর তার আর পড়াশোনা হয়নি। ছবি আঁকার মাধ্যমেই সফল হওয়ার রাস্তা খুঁজে পেয়েছে এই যুবক। নন্দকুমার ব্লকের কোলসর গ্রামের পঞ্চানন ভূঁইয়া, ছোটবেলা থেকেই ছবি আকার কাজকে অগ্রাধিকার দেয়। ছবি আঁকার পাশাপাশি এই শিল্প সত্তা দিয়েই তিনি রোজগারের পথ খুঁজে পেতে চাইছেন । বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে থিমের কাজ করেন এই সম্ভাবনাময় শিল্পী।