রাজ্যের খবর

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে হচ্ছে না পূর্ণ কর্মবিরতি

No full strike at Medinipur Medical College

Truth Of Bengal: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে হচ্ছে না পূর্ণ কর্মবিরতি। পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসল জুনিয়র ডাক্তাররা। সকাল ৮ টা থাকা কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুপারের সঙ্গে আলোচনা করার পর এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।

বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসক ও পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়। আরএমও এমএসভিপি-র ভূমিকা খতিয়ে দেখবে সিআইডি, এবার থেকে ওটির ভিতরেও রাখা হবে সিসিটিভি। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় নবান্ন থেকে এই কড়া অবস্থান স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, জীবনের থেকে বড় কিছু আর হতে পারে না। তিনি স্বজনহারা পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিতে, একজনকে চাকরি ও ৫ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।

স্যালাইন-কাণ্ডে চিকিৎসকদেরই কাঠগড়ায় তুুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি নবান্নে জানালেন, সঠিকভাবে চিকিৎসকেরা দায়িত্ব পালন করলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ওই মা এবং সদ্যোজাতকে বাঁচানো যেত। এই ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করার নির্দেশ দেন তিনি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আরএমও এবং এমএসভিপি।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। অভিযোগ, স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। পরে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। এক সদ্যোজাতও প্রাণ হারিয়েছে। এই ঘটনায় চিকিৎসকদের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তার পরে জানিয়েছেন, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পরেও বাঁচানো যায়নি এক প্রসূতি এবং এক শিশুকে। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁদের কাছে মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়, যাঁদের হাতে সন্তান জন্মায়, তাঁরা দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করলে মাকে এবং সন্তানকে বাঁচানো যেত।’’

Related Articles