রাজ্যের খবর

এলাকার বিধায়ক-সাংসদ বিজেপির, ভাঙন রোধে নজর নেই জনপ্রতিনিধিদের, ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের

MLA-Member of BJP in the area, people's representatives are not paying attention to prevent erosion, people's anger is increasing

The Truth Of Bengal :  এলাকার বিধায়ক বিজেপির। সাংসদও বিজেপির। ভোটের সময় ছাড়া তাঁদের দেখা মেলে না বলে দাবি এলাকার লোকজনের। বদলে যাবে ভাঙনের ছবি। আতঙ্ক নিয়ে আর বাস করতে হবে না নদী তীরবর্তী এলাকায়। প্রতিবার ভোটের সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে মেলে এমন আশ্বাস। কিন্তু, পরিস্থিতির কোনও বদল হয় না। নদিয়ার চাকদা ব্লকের চাঁদুড়িয়া এক নম্বর পঞ্চায়েতের উত্তরাঞ্চল অর্থাৎ ঝাউচর, গঙ্গাপ্রসাদপুর, পোরাডাঙা এবং মুকুন্দ নগর। চারটি গ্রামে আছে ৬টি বুথ। বাস করে প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোটারের পরিবার। এখানকার মানুষ প্রান্তিক শ্রেণির। নদিয়া জেলার মধ্যে হলেও এলাকার মানুষের হুগলি জেলার সঙ্গে যোগাযোগটা বেশী।

গত পাঁচ বছর আগে মুকুন্দনগর থেকে গৌরনগর ঘাটের আগে পযর্ন্ত বাঁধানো হয়েছিল। আজ তা বেশিরভাগ জলে। স্নান করার স্থায়ী কোনও ঘাট নেই, নেই স্থায়ী ফেরিঘাটও। এলাকার মানুষের দাবি, বিধায়ক বা সংসদ কবে তাদের এলাকায় এসেছিলেন তা তাদের জানা নেই। একই অবস্থা কল‍্যাণী ব্লকের চাঁদুড়িয়া দুই নম্বর পঞ্চায়েতের সান্যালচর এলাকার। রানিনগর, বালাপাড়া, ঢুঙ্গিপাড়া এবং মালোপাড়ায় ১৩টা অঞ্চল ছিল। লোকসংখ‍্যা ছিল পঁচিশ থেকে তিরিশ হাজার প্রায়। এখন কমতে কমতে পাঁচ হাজার ভোটার সহ ৬টি বুথ এসে দাঁড়িয়েছে। ওই এলাকায় না আছে স্নান করার স্থায়ী ফেরিঘাট। এখানকার বাসিন্দাদের জলপথই ব‍্যবহার করতে হয়। স্কুল, কলেজ অফিসে যাতায়াতে তাদের জলপথই সুবিধা। সেই এলাকা ভাঙনে বিপর্যস্ত। একবার ভাঙন শুরু হলে বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গার বুকে চলে যায়। কল‍্যাণী ব্লকের তারিনীপুর, রায়ডাঙা, হেমনগর সরাটি অঞ্চলের অবস্থাও একই।

তবে এখানকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এখন বাঁধানোর কাজ চলছে। বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। তবে কতদিনে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে তা জানা নেই কারও। কারণ গঙ্গায় পলি বা বালি জমে নাব‍্যতা বা গভীরতা কমে যাচ্ছে। অবিলম্বে গঙ্গা থেকে জমা পলি বা বালি তুলতে হবে। না হলে গঙ্গা বক্ষে নৌযান চলাচল ব‍্যাহত হবে। থামবে না ভাঙন। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা সেই কাজে তেমন উদ্যোগ দেখান না বলে দাবি এলাকার মানুষের।

 

Related Articles