
The Truth of Bengal: খড়্গপুর থেকে ডেবরা যাওয়ার রেলপথে তৈরি হচ্ছিল কাজ। জকপুর আর মাদপুর স্টেশন তৈরির মাঝে রেল লাইনের কাজের সময় ঝোপের মধ্যে মেলে এক মনসার স্তুপ। রেলকর্তৃপক্ষ সেই মনসার কথা এড়িয়ে গিয়ে রেলপথ নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে বলে। তাতে বিপদ হয়।অনেক শ্রমিকই অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে বিশ্বাস করেন স্থানীয়রা।সেসময় স্বপ্নাদেশও পান অনেকে। তাই বিপদ এড়াতে বিশ্বাস মেনে মাদপুর স্টেশনের পাশে তৈরি হয় মনসার মন্দির।যেখানে ভক্তরা এসে পুজোপাঠ করেন,পূরণ হয় মনস্কামনা। রেলযাত্রীরাও মনসাকে পুজো দিয়ে যান।
কথায় বলে বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। আর সেই বিশ্বাসে ভরসা করেই মাদপুরে তৈরি হয়েছে মনসার মন্দির। রেলস্টেশনের পাশে থাকা এই মন্দিরে ভক্ত সমাগম বেড়েই চলেছে। মানুষ দলে দলে আসছেন পুজো দিচ্ছেন,ভক্তি ভরে পুজো দিলে মনবাসনা পূরণ হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। এই মনসা মন্দিরের আলাদা ইতিহাসও রয়েছে। কথিত আছে, ১৮৮৯সালে , দক্ষিন পূর্ব রেলওয়ে হাওড়া থেকে আপ খড়গপুর রেললাইনে কাজ শুরু হয়। খড়গপুর ষ্টেশান ঢোকার আগেই জকপুর আর মাদপুর ষ্টেশানের মাঝে দেখা যায় রেললাইনের কাজের সময় মনসার একটি স্তুপ দেখা যায়।জঙ্গলের ঝোপেই মনসার দেখা মেলায় রেলকর্মীরা কর্তৃপক্ষকে জানায়।
বিষয়টি এড়িয়ে যেতে বলায় বিপত্তি হয়। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন মনসার স্তুপ ভেঙে ফেলায় শ্রমিকদের বিপদ হয়।পরে মা মনসাও নাকি স্বপ্ন দেয়। স্বপ্নাদেশ পেয়েই মা মনসার মন্দির নির্মাণ শুরু হয়।এখন মাদপুরের সেই মন্দিরই হয়ে উঠেছে মনসকামনা পূরণের অন্যতম তীর্থকেন্দ্র। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে দেবীর মাহাত্ম্য, দূর দূরান্ত থেকেও শুরু হয় মানুষের আগমন। হাওড়া থেকে আপ খড়গপুর আসার পথে মাদপুর জকপুর ষ্টেশনের মাঝেই রেল লাইনের পাশেই চোখে পড়ে মন্দিরটি। ট্রেন থেকেই মায়ের উদ্দেশ্যে অনেকেই অর্থ দান করেন।মনস্কামনা পূরণ হলেই মাকে পুজোপাঠ দেন তাঁরা।